ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সহকারী অধ্যাপককে পেটালেন অধ্যক্ষ!  

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
সহকারী অধ্যাপককে পেটালেন অধ্যক্ষ!   অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপক

পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রহমত উল্লাহকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ রবিউল আলমের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সলিমপুর ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

 
  
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, নিয়ম অনুযায়ী সলিমপুর ডিগ্রি কলেজে সকাল ১০টার এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে হয়। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সহকারী অধ্যাপক রহমত উল্লাহ অধ্যক্ষের কক্ষে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে যান। এর আগে ওই শিক্ষক দেরিতে আসায় অধ্যক্ষ হাজিরা খাতায় তাকে অনুপস্থিত দেখান। রহমত উল্লাহ এসময় অধ্যক্ষকে বলেন, বাড়িতে সমস্যা ছিল বলে আসতে দেরি হয়েছে। আর আমার ছুটি পাওনা আছে, আজ তাহলে আমি ছুটির দরখাস্ত দিতে চাই। নইলে আমাকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেন। এ কথা শোনার পর অধ্যক্ষ রবিউল ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। রহমত উল্লাহ এর প্রতিবাদ করলে অধ্যক্ষ আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এসময় অধ্যক্ষ উত্তেজিত হয়ে রহমত উল্লাহকে চড়-কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এতে রহমত উল্লাহ মাটিতে পড়ে গেলে তাকে লাথিও মারেন অধ্যক্ষ। একপর্যায়ে পাশের কক্ষ থেকে তিনজন শিক্ষক ছুটে এসে শিক্ষক রহমত উল্লাহকে উদ্ধার করেন।  

ভূক্তভোগী সহকারী অধ্যাপক রহমত উল্লাহ বলেন, অধ্যক্ষ প্রায়ই শিক্ষকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন, অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর আগে গত ১২ জুন এবং ২০১৭ সালেও আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন তিনি। দেরিতে আসার জন্য যদি অনুপস্থিতই দেখানো হয়, তাহলে ছুটি নেওয়াই ভালো, তাই ছুটির দরখাস্ত দিতে চেয়েছিলাম। এটাই আমার অপরাধ। অশালীন ভাষা শুধু গালিগালাজই নয়, তিনি আমাকে মারধর করে রক্তাক্তও করেছেন। অধ্যক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় আমিসহ অন্য শিক্ষকরা তার অন্যায় আচরণের বিচার পান না।  


এ ব্যাপারে সলিমপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল আলমের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।  


ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষক অনিয়ম করলে চাকরিবিধি অনুযায়ী অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু শিক্ষককে মারধর তিনি করতে পারেন না। এটা ভীষণ অন্যায়। অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে, ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পি এম ইমরুল কায়েস বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি এখনও জানি না। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।