ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘জনগণ আগে যেভাবে শোষিত হয়েছে বর্তমানে একইভাবে শোষিত হচ্ছে’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
‘জনগণ আগে যেভাবে শোষিত হয়েছে বর্তমানে একইভাবে শোষিত হচ্ছে’  স্মরণসভায় দিলিপ বড়ুয়াসহ অন্যরা।

ঢাকা: ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের কাছে জনগণ যেভাবে শোষিত হয়েছে বর্তমানে একইভাবে শোষিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের (এম-এল) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়ুয়া।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে কেউ মুক্তিযুদ্ধের নামে কেউবা সরকার বদলের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

আর এই বিভ্রান্তের মধ্য দিয়ে জনগণ আজকে হতাশায় দিন পার করছে। কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহার যে রাজনৈতিক আদর্শ দিয়েছিলেন, তা যদি বাস্তববাদ না হয় তাহলে জনগণের মুক্তি হবে না।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম স্থপতি, সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আপসহীন যোদ্ধা, ভাষাসৈনিক ও বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ তোয়াহার ৩৫তম স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।  

স্মরণসভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম-এল)।

সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়ুয়া বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়েছে, অনেক সরকার এলো আর গেল কিন্তু জনগণের মুক্তি হয়নি। আগে জনগণ যে তিমিরে ছিল বর্তমানে সেই তিমিরেই আছে। তারা বারবার প্রতারিত হচ্ছে।


সরকার বড় বড় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন এম-এল’র এই সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, আজকে কেন ডলার সংকট হয়েছে, কেন ব্যবসার এমন অবস্থা। আমাদের দেশের বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য পণ্যের দামে যেভাবে নেমপ্লেট করেছেন। সরকার যদি এখনো এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে যাবে।  

দুর্ভিক্ষের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত প্রকাশ করে দিলিপ বড়ুয়া বলেন, এদেশের প্রতি ইঞ্চি জমি যদি আবাদ করা না যায় তাহলে আমার দেশে দুর্ভিক্ষের কবল থেকে মুক্তি পাবে না। আমি সরকারকে বলতে চাই আপনার দল এবং জোট যদি কার্যকারী পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ২৩ সালের এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে পরিত্রাণ দেওয়া কষ্টকর হবে।  

বিএনপির জাতীয় সরকারের তীব্র বিরোধিতা করে দিলিপ বড়ুয়া বলেন, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। আপনাদের (বিএনপি) সময় থেকেই শুরু হয়েছিল চাকরিবাণিজ্য। যার প্রভাব এখনো আছে। আমরা মনে করি, বর্তমান এই রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বিভিন্ন সরকার নানাভাবে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি শুধু ক্ষমতা পালা বদলের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি।  

তিনি আরও বলেন, কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহার যে আদর্শ তা শুধু সরকার বদল হলে হয় না। এতে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি হয় না। সেজন্য প্রয়োজন সমাজতন্ত্রের দর্শনের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে মানুষ বারবার প্রতারিত হবে।  

সভাটির সভাপতিত্ব করেন এম-এল'র পলিট ব্যুরো সদস্য কমরেড লুৎফর রহমান। এ সময় বক্তব্য রাখেন পার্টির অন্যান্য নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
ইএসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।