ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ক্ষেতমজুরদের জমাবিহীন পেনশনের সুযোগ দিতে হবে: মেনন

স্টাফ করেসপন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
ক্ষেতমজুরদের জমাবিহীন পেনশনের সুযোগ দিতে হবে: মেনন

ঢাকা: সর্বজনীন পেনশন স্কিমে কন্ট্রিবিউটরি বিধানের পাশাপাশি ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ শ্রমজীবী এবং অন্যান্য অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জমাবিহীন পেনশন (নন-কন্ট্রিবিউটরি) প্রাপ্তির সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) ‘ক্ষেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবীদের জন্য জমাবিহীন পেনশন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই দাবি জানান।

জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে টেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, সরকার ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের পেনশন দেওয়ার জন্য ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম নামক একটি আইন সংসদে উত্থাপন করেছে। এই স্কিমে ক্ষেতমজুর ও শ্রমজীবী মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে তাদের জন্য জমাবিহীন (নন-কন্ট্রিবিউটরি) পেনশন ব্যবস্থা চালু প্রয়োজন।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, সরকার চাকরি শেষে পেনশন দেওয়ার মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৃদ্ধ বয়সে নিরাপত্তা দিচ্ছে। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষরা বৃদ্ধ বয়সে শুধু বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে। যা খুবই সামান্য। তাই শ্রমজীবী মানুষদের বৃদ্ধ বয়সে নিরাপত্তার জন্য জমাবিহীন পেনশন স্কিম খুবই জরুরি।

বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নীলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রাজুর সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে ধারণাপত্র উত্থাপন করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। প্যানেল আলোচক হিসাবে আলোচনায় অংশ নেন অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ড. বিনায়ক সেন, অধ্যাপক এম এম আকাশ, সমাজকর্মী জনাব শামসুল হুদা।

আলোচকরা বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬২ ভাগ ভূমিহীন। এরা পরের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রান্তিক চাষিরাও নিজেদের জমিতে কাজ করার পাশাপাশি অন্যের জমিতে কাজ করে থাকেন। তবে এ কাজ মৌসুমি। ফলে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ শ্রমজীবীরা ভ্যান চালানো, ইট-ভাটা, ধানের চাতালসহ গ্রামীণ জীবনযাত্রায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে থাকেন।

তাই পেনশন তহবিলে এ ক্ষেতমজুরদের নিয়মিত চাঁদা দেওয়া অসম্ভব। যদি কেউ শুরুও করতে পারে তাহলে তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারবে না। ফলে সংবিধানের বিধান অনুসারে ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিমের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা কার্যকর হবে না। এই পেনশন এ সব জনগোষ্ঠীর ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকবে।

এই অবস্থায় ওই পেনশন স্কিমকে ক্ষেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবীদের জন্য জমাবিহীন বা নন-কন্ট্রিবিউটরি করতে হবে। তাদের এই পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে ক্ষেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবীদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই নিবন্ধনের ব্যবস্থা নেবেন যাতে সরাসরি ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ব্যবস্থায় ক্ষেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবীরা যুক্ত হতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।