ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদরাসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
মাদরাসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চর মনসা ইসমাইল দাখিল মাদরাসার তিন পদে জনবল নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

 

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাদরাসা কক্ষে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।  

পরীক্ষার ফলাফলে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে বিকেলে স্থানীয়রা মাদরাসা কক্ষে ডিজির প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। তবে স্থানীয়দের তোপের মুখে তখন সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ ও সুপার মাকছুদুর রহমান মাদরাসা প্রাঙ্গণ থেকে সটকে পড়েন।  

স্থানীয়রা জানান, মাদরাসার জন্য একজন অফিস সহকারী, একজন নৈশপ্রহরী ও একজন আয়া পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তিন পদের জন্য প্রায় ৩০টি আবেদন জমা পড়ে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে নিয়োগ পরীক্ষা চলে মাদরাসায়।  

তাদের অভিযোগ, যাদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ভাল হয়েছে তালিকায় তাদের নাম না রেখে সভাপতি ও সুপার তাদের পছন্দের তিনজন লোক নির্ধারণ করে রাখেন। অনিয়মের এমন চিত্র স্থানীয়দের নজরে এলে তারা হট্টগোল শুরু করেন। একপর্যায়ে তোপের মুখে পড়ে মাদরাসা থেকে কৌশলে সটকে পড়েন সভাপতি ও সুপার।

মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল জাহের মানিক ও অভিভাবক মিজানুর রহমান বলেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ নিয়োগ চূড়ান্ত করার পাঁয়তারা করছে কমিটি। আয়া পদে যে নারীকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ওই নারীর সঙ্গে সভাপতি ও সুপার দুই লাখ টাকার চুক্তি করেছেন, এর মধ্যে এক লাখ টাকা নিয়েছেন বলেও জানা গেছে। এছাড়া বাকি দুইটি পদেও মোটা অংকের টাকার চুক্তি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।  

মাদরাসার সুপার মাকছুদুর রহমান বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা। নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির প্রতিনিধি মাদরাসায় উপস্থিত ছিলেন।

নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়েছে দাবি করে মাদরাসার সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ বলেন, যারা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি, তারা ও তাদের অভিভাবকরা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। পরীক্ষা চলাকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেব ও ডিজির প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাদরাসার বিদ্যুৎসাহী সদস্য সাইফুল হাসান রনি বলেন, মাদরাসায় নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে সমস্যা হয়েছে। এমন খবর পেয়ে মাদরাসায় গিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, কোনোভাবেই নিয়োগ বাণিজ্য করার সুযোগ নেই। তারপরেও লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।