ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় তুরস্ক

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় তুরস্ক

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। জাতীয় নির্বাচন সব পক্ষের অংশগ্রহণমূলক হওয়া প্রয়োজন।

বুধবার (নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খাজানা রেস্টুরেন্টে সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘মিট দ্যা অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।

অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলেরই পর্যবেক্ষণ ও অংশ নেওয়া উচিৎ। আর যে কোনো সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক সংলাপ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে। তবে নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশই যে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে, কোনো বিদেশি শক্তি নয়। আর আগামী নির্বাচনে যে দলই জয়লাভ করুক, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে চাই। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শুধু সামরিক সরঞ্জাম কেনা বেচার বিষয় নয়, এটা কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়ও। বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে ড্রোন, পেট্রোল ভেসেল প্রভৃতি কিনেছে। সামরিক সরঞ্জাম তৈরি যৌথ উদ্যোগেও হতে পারে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তুরস্কও বাংলাদেশের মতো শরণার্থী সংকট মোকাবিলা করছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আমরা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্লাটফর্মেও সমর্থন করছি। বিশেষ করে ওআইসি, আইসিজেতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা করছে তুরস্ক।

অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা- আঙ্কারা সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। এটা নিয়ে আমি প্রায়ই মিডিয়ার মুখোমুখি হই। তবে সেই ভুল বোঝাবুঝির অবসানও হয়েছে। আমরা সে সময় বন্ধু দেশ হিসেবে শুধুমাত্র আমাদের মতামত দিয়েছিলাম। এখন আমাদের দুই দেশের সম্পর্কে আস্থা রয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা যে কোনো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি। কূটনৈতিক সংলাপে বিশ্বাস করি। রাশিয়া- ইউক্রেন উভয়পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি আমরা। টেকসই শান্তির লক্ষ্যে আমরা সংলাপের মাধ্যমে এই সঙ্কটের সমাধান চাই।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি শুধু পোশাক শিল্পখাতের ওপর নির্ভর করে টিকে থাকতে পারে না। বহুমুখী ও বৈচিত্র্যময় শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে। আইসিটি, ওষুধ শিল্প খাত বাংলাদেশের রপ্তানির বিকল্প হতে পারে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

>>> আরও পড়ুন: আগামী বছর ঢাকায় আসবেন এরদোয়ান

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
টিআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।