ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি ৭২-এর বঙ্গবন্ধুর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই শীর্ষক আলোচনা সভা | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান নিজ হাতে গড়া স্বল্প সময়ে প্রণীত বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি সংবিধান। সেই সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজিত ‘৭২-এর বঙ্গবন্ধুর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি তোলা হয়।

এতে পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ৭২-এর সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম অধ্যাপক ড. আবু সাইদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর, সংস্কৃতিকর্মী মামুনুর রশীদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম প্রমুখ।

অধ্যাপক ড. আবু সাইদ বলেন, ’৭২-এর সংবিধান যারা রচনা করেছেন তাদের সামনে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, তুরস্ক, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতের সংবিধান। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সংবিধানসমূহ তারা অধ্যয়ন করেছেন। তারা পর্যালোচনা করেছেন এসব সংবিধানের সবলতা ও দুর্বলতা। লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের জন্য শ্রেষ্ঠতম সংবিধানটি তারা রচনা করবেন। শুধু বিভিন্ন দেশের সংবিধান পর্যালোচনা নয়, জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাসহ মানবাধিকার-সংক্রান্ত অন্য দলিলসমূহের আলোকে আমাদের সংবিধানের রয়েছে একাধিক উপচ্ছেদ।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংবিধানের মূল নীতির জায়গায় আমরা ফিরে যেতে চাই। এই সংবিধান শহীদের রক্তে লেখা সংবিধান। ৭২-এর সংবিধানের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর দর্শন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা রাতারাতি কিছু পাইনি। পাওয়ার জন্য বহু সংগ্রাম করতে হয়েছে এবং ত্যাগ করতে হয়েছে; এখনো হচ্ছে।

শাহরিয়ার কবীর বলেন, দুটি কারণে রাজাকার নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়, একটি রাজাকারের বিচার আর আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়া। আর সেটির তো মূলনীতি ৭২-এর সংবিধান। বঙ্গবন্ধু ধর্মকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে মূলত ৭২-এর সংবিধানকে সাম্প্রদায়িকীকরণের জন্য। তবে তা সফল হয়নি। এখন আমাদের জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা প্রয়োজন, যাদের বিচারিক ক্ষমতা থাকবে। যেন ঘটনা একটা ঘটলে সেখানে আদালত বসিয়ে দ্রুত চার্জশিট দেওয়া যায় যে, কারা অপরাধী। এগুলো এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে থাকতেই করতে হবে। ইশতেহার পূরণ না করলে কোন মুখে আওয়ামী লীগ আবার নির্বাচনে যাবে!

অন্যান্য বক্তারা বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মীরা আন্দোলন করেছে, এখনো করছে। আমরা সকলেই বঙ্গবন্ধুর দর্শনের সংবিধানের বাস্তবায়ন চাই। ৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের আরও আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২২
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।