ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নরসিংদীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২২
নরসিংদীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৫

নরসিংদী: নরসিংদীতে চালককে হত্যা করে অটো ছিনতাইয়ে জড়িত দুইজনসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আল-আমিন।

এর আগে, রোববার (৩০ অক্টোবর) রাতে মাধবদী থানার বালুসাইর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার দেওথান গ্রামের আয়নুল হকের ছেলে মাসুদ রানা (২৪), ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার মনোহর গ্রামের মৃত মান্নান হাওলাদারের ছেলে মো. মিজান (৩৫), একই থানার কাঠিপাড়া গ্রামের মৃত সুলতান হাওলাদারের ছেলে মো. শাহাবুদ্দিন (২৯), শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানার পশ্চিম চরসন্ধি গ্রামের নুরুল আমিন মল্লিকের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন মল্লিক (৩৬) ও বরিশাল জেলার মূলাদী থানার ভেলরিয়া গ্রামের মজিবুরের ছেলে মো. ইমরান (৩২)।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ জানা যায় যে একদল ডাকাত মাধবদী-নরসিংদী আঞ্চলিক সড়কের বালুসাইরে ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয়েছে। পরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, একটি মোটরসাইকেল, একটি কাটার, একটি কাঠের হাতল বিশিষ্ট রামদা ও দুইটি লোহার তৈরি পাইপ জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আটক পাঁচজনের মধ্যে মাসুদ ও ইকবাল গত ৬ সেপ্টেম্বর ব্যাটারিচালিত অটো চালক মোখলেছুর রহমানকে হত্যা করে সেই অটো ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। এ ঘটনায় গ্রেফতার আসামি আবুল কালাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে মাসুদ ও ইকবালের নাম প্রকাশ করেছেন। আবুল কালাম জেল হাজতে থাকায় মাসুদ ও ইকবাল আটকদের নিয়ে নতুন দল গঠন করে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল। ঘটনার পরে মাসুদ ও ইকবালকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ওবং বাকিদের ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আল-আমিন বলেন, আসামি মাসুদ রানার বিরুদ্ধে চালককে অজ্ঞান করে অটো ছিনতায়ের ঘটনায় ডিএমপিতে পাঁচটি এবং নেত্রকোনা জেলায় সদর থানায় একটি মামলা রয়েছে। আসামি ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে চালককে অজ্ঞান করে অটো ছিনতায়ের ঘটনায় ডিএমপিতে দুইটি এবং শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানায় একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া মিজানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ও মাদক মামলাসহ ডিএমপিতে তিনটি এবং ঢাকার আশুলিয়া থানায় ডাকাতির প্রস্তুতির একটি মামলা রয়েছে। জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।