ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কালকিনির ঐতিহ্য কুণ্ডুবাড়ির মেলায় দর্শনার্থীর ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
কালকিনির ঐতিহ্য কুণ্ডুবাড়ির মেলায় দর্শনার্থীর ভিড়

মাদারীপুর: প্রায় দুইশো বছরের ঐতিহ্য মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কুণ্ডুবাড়ির মেলা। শ্যামা পূজাকে ঘিরে গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) শুরু হওয়া এ মেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় ঘরগৃহস্থলির নানান পণ্যের সমারোহ থাকে।

 
সুলভ মূল্যে জিনিসপত্র পাওয়ায় হাজারো দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। এ মেলায় বিক্রি হয় কোটি টাকার মালামাল।

জানা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্যামা পূজা উপলক্ষে কালকিনির ভুরঘাটায় গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী কুণ্ডুবাড়ির মেলা। চারদিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এ মেলা সাতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। মেলাকে ঘিরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুই পাশসহ প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসেছে সারি সারি দোকান। পাওয়া যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। সঙ্গে রয়েছে কাঠের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্রও। এসব জিনিস সুলভে কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। আর ভালো বিক্রি হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও। ঘরগৃহস্থলির বিভিন্ন আসবাবপত্র, রান্নাবান্নার তৈজসপত্রসহ নিত্য প্রয়োজনীয় নানান সামগ্রী বিক্রি হয় এখানে। যা অল্প দামেই কিনতে পারেন ক্রেতারা।

গোপালগঞ্জ থেকে আসা মো. রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি বলেন, এখানে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। দামেও কম। গত বছর একটি খাট কিনেছিলাম। এবারও কিছু প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কিনবো।

বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা বলেন, এই মেলা একদিকে যেমন বিনোদন দেয় অন্যদিকে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই পাওয়া যায়। সবকিছুর দাম সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় কেনাকাটা করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।

ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিবছরই আসি এই মেলায়। এবারও আশা নিয়ে আসছি। মালামাল সবকিছু বিক্রি করে যাবো, এটাই প্রত্যাশা।

টাঙ্গাইল থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ৩০টি ছোট-বড় খাট নিয়ে আসছি মেলাতে। চারদিনের মেলায় জমজমাট কেনাবেচা শুরু হয়েছে। আশার করছি, বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো হবে।

কালকিনির ভুরঘাটার কুণ্ডুবাড়ি মেলা কমিটির সহ-সভাপতি স্বপন কুণ্ডু জানান, পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতেই প্রতিবছর এই মেলা হয়ে আসছে। এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিবছর বৃহৎ আকারে মেলার আয়োজন করা হয়।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন জানান, প্রায় দুইশো’ বছর আগে এখানকার মহেষ চন্দ্র কুণ্ডু এ মেলার আয়োজন করেন বলে জেনেছি। সেই থেকে একটানা হয়ে আসছে মেলা। ঐতিহ্যবাহী মেলায় প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকার মালামাল বিক্রি হয়। সেই জন্য বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়।

মাদারীপুর পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করছে। এছাড়া ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে হওয়ায় ট্রাফিক পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।