ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সিত্রাংয়ের প্রভাবে পিরোজপুরে বৃষ্টি, জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
সিত্রাংয়ের প্রভাবে পিরোজপুরে বৃষ্টি, জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা

পিরোজপুর: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পিরোজপুরে রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। সারাদিনই আকাশ ছিল মেঘলা, সূর্যের কোনো দেখা মেলেনি।

এদিকে সিত্রাং নিয়ে জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে পিরোজপুরে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলার ৭ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা, রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা  প্রশাসক আগাম প্রস্তুতির ব্যাপারে ইউএনওসহ সবাইকে দিক নির্দেশনা দেন। তিনি জানান, জেলার ৭ উপজেলায় ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত আছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৫০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও প্রস্তুত আছে। যেখানে আরও ১ লাখ ২৮ হাজার ২৫০জন বিপদের সময় আশ্রয় নিতে পারবে। সেই সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ মে.টন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে বিভিন্ন উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.  হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, তাদের মোট ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে এবং স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধের পর্যাপ্ত যোগান রয়েছে।

এসপি মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ধরনের সহযোগিতার নিশ্চয়তাসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দেন।

এদিকে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, বড়মাছুয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার টগরা ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ২৩ কি.মি. বেড়িবাঁধ অরক্ষিত আছে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী. মেহেদী হাসান বলেন, মঠবাড়িযার খেতাছিড়া, কঁচুবাড়িয়া, বড়মাছুয়া ভাঙন এরাকায় কিছু গাইড ওয়াল করা হয়েছে। এছাড়া ৮৩০ কি.মি. এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি জানান, তাদের হাতে বেশ কিছু জিও ব্যাগ প্রস্তুত আছে, যা জরুরি কাজের সময় ব্যবহার করা যাবে। এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক বলেন, বর্তমানে কৃষকের জমিতে আমন ধানের ফলন আছে, জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙ্গা বাঁধের কারণে জমিতে পানি ঢুকলে শত শত হেক্টর জমির ফসল নস্ট হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
এমএমজেড

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।