ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সাতক্ষীরায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শংকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
সাতক্ষীরায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শংকা

সাতক্ষীরা: নিম্নচাপের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপকূলীয় এলাকাজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।  
রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে থমথমে আবহাওয়ার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলেও বিকেলের পর তা বেড়েছে।

সেই সঙ্গে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে উপকূলবাসীর মনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। জলোচ্ছ্বাসের শংকায় রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তারা।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও শিট দিয়ে শ্যামনগরের দুর্গাবাটি এলাকার ভাঙন কবলিত বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

তবে দাতিনাখালী, পশ্চিম কৈখালী, জেলেখালী, নেবুবুনিয়া ও গাবুরার অন্তত চারটি পয়েন্টের বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকে বাতাস বন্ধ থাকার পাশাপাশি নদীতে পানি বাড়ার ঘটনায় তারা শংকিত। ঝড়ের সঙ্গে একই সময়ে জোয়ারের তীব্রতা বাড়লে বাঁধ ভেঙে ও ছাপিয়ে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশের আশঙ্কায় স্থানীয়রা উৎকণ্ঠায় রয়েছে।

পোড়াকাটলা গ্রামের প্রভাষক পরীক্ষীত মণ্ডল জানান, তাদের বাড়ির সম্মুখভাগে দুর্গাবাটি এলাকার বাঁধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কয়েক মাস আগে কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ সংস্কার সত্ত্বেও চর দেবে যাওয়ায় সম্প্রতি সেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীতে জোয়ারের সঙ্গে যদি ঝড় মারাত্মক আকার ধারণ করে তবে সমগ্র এলাকা প্লাবিত
হবে।

নৈকাটি গ্রামের আনিছুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকার বাঁধ সরু আইলের আকৃতি নিয়ে আছে। সম্প্রতি ভাঙন কবলিত অংশের পাশে কিছু বালুভর্তি জিও ব্যাগ দেওয়া হলেও সেখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হঠাৎ নিম্নচাপের কারণে তাদের এলাকার শতাধিক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে।  

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, চারপাশে নদীবেষ্ঠিত গাবুরাকে ঘিরে থাকা বাঁধ আইলার পর থেকে বেশ নিচু হয়ে আছে। এছাড়া ইয়াস ও আম্পানের পর থেকে বড়গাবুরা, হরিশখালীসহ কয়েকটি অংশের বাঁধও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও অদ্যাবধি কাজ শুরু হয়নি। এমতাবস্থায় ইউনিয়নের ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিম্নচাপকে ঘিরে শংকিত হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার মাসুদ রানা জানান, প্রধান প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রোববার সকাল থেকে শ্যামনগরের ভাঙনকবলিত নেবুবুনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা পরির্দশন করেছেন। পাউবোর পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে জিও ব্যাগ স্থাপনসহ জিও শিট বিছানো এবং মাটি দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, সাইক্লোন শেল্টার ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।