ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঝুঁকি নিয়েই চলছে সড়ক পারাপার

শাকিল আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২২
ঝুঁকি নিয়েই চলছে সড়ক পারাপার

ঢাকা: রাজধানীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ঝুঁকি নিয়েই সড়ক পারাপার করছেন পথচারীরা। এরমধ্যে কোথাও-কোথাও ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও তা খুব একটা কাজে আসছে না।

আবার কোথাও ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় ব্যস্ত সড়ক ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছেন রাজধানীর মানুষ।

বুধবার (৫ অক্টোবর ) সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ সময় দেখা যায়, রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়কে রাস্তা পারাপারের জেব্রা চিহ্নিত দাগগুলো মুছে গেছে। ফলে, তার ব্যবহার না করে যেনতেনভাবে রাস্তা পার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু বাড্ডা নয়, রামপুরা থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়কের মেরুল বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, শাহজাদপুর ও নতুন বাজার এলাকার বিভিন্ন জায়গায়ও জেব্রা চিহ্নিত দাগগুলো মুছে গেছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইল এলাকায় ব্যস্ত সড়ক ঝুঁকি নিয়ে পার হতে দেখা যায় অনেক পথচারীকে। গুলিস্তান ব্যস্ততম সড়কে মোবাইল ফোন কানে নিয়ে পার হচ্ছেন একজন পথচারী। শান্তিনগর এলাকায় ভাঙা রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে পারাপার হচ্ছেন অনেক পথচারী।

একই চিত্র দেখা গেছে মহাখালী রেল গেট এলাকায়ও। সেখানে রেলক্রসিং থাকলেও নির্দেশনা না মেনে হুড়োহুড়ি করে রাস্তা পার হয় অসংখ্য মানুষ। নেই কোনো ফুটওভার ব্রিজ বা সড়ক পারাপারের জেব্রা ক্রসিং।

অন্যদিকে, গুলশান নতুন বাজার এলাকায় মিললো ভিন্ন চিত্র। পাশাপাশি দুটি ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সড়ক পার হচ্ছেন ঝুঁকি নিয়ে ফুটওভার ব্রিজের নিচ দিয়ে। নতুন বাজার এলাকায় দেখা গেছে, সড়কের মাঝখানে ডিভাইডারের গ্রিল ভাঙা।
ফলে, মানুষ সহজেই রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছেন।

এসময় পথচারী দেলোয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নতুন বাজার সাঈদনগর এলাকায় থাকি। গুলশানে একটি ফ্রিজের দোকানে কাজ করি। হাতে সময় কম, তাই নিচ দিয়েই পার হয়েছি। আপনি দেখেন আমার মতো অনেকেই এখান থেকে পার হচ্ছেন। যদিদি রেলিংয়ের ভাঙা অংশ বন্ধ করে দেয়া হতো, তাহলে হয়তো মানুষ বাধ্য হয়েই ওপর দিয়ে পারাপার হতো।

আরেক পথচারী শেখ নাজমুল হুদা বলেন, আমার বয়স ৬০ বছরের ওপরে। আমি এখন আর সিঁড়ি বেয়ে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে যেতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে ফুটওভার ব্রিজের নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মতো বয়স্কদের জন্য সরকার যদি ফুটওভার ব্রিজে চলন্ত সিঁড়ি যুক্ত করে দিত, তাহলে আর ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হওয়া লাগত না।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সাধারণ মানুষের পারাপারের তেমন কোনো সুব্যবস্থা নেই। না আছে জেব্রা ক্রসিং, না আছে আন্ডারপাস বা ফুটওভার ব্রিজ। একটু দূরে ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও তা হাসপাতাল ও বাস টার্মিনালে যাওয়া মানুষের কাজে লাগে না।

ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও, সেগুলো রয়েছে হকারদের দখলে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ততম এই সড়ক পার হন হাজারো মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘন্টা, ০৬ অক্টোবর, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।