ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বর ও তার বাবাকে কান ধরিয়ে উঠবস, টাকা নিয়েও ভিডিও ফাঁস!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
বর ও তার বাবাকে কান ধরিয়ে উঠবস, টাকা নিয়েও ভিডিও ফাঁস!

লালমনিরহাট: বাল্যবিয়ের অভিযোগ তুলে বর ও তার বাবাকে প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে উঠবস কারানোর ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ উঠেছে রাকিবুল হাসান আশরাফী সোহেল (৪২) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সম্মানহানীকর এ ঘটনার বিচার চেয়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ফজলুল হক।

অভিযুক্ত রাকিবুল হাসান পাটগ্রাম উপজেলার সরকারেরহাট এলাকার মৃত নুরুল হক আশরাফীর ছেলে।

ভুক্তভোগী ফজলুল হক একই উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের হোসেনবাদ এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ফজরুল হকের ছেলে ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার সরকারেরহাট এলাকার আজিজুল ইসলাম অলির মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিয়ের চুড়ান্ত দিনে কনের বয়স অপ্রাপ্ত হওয়ায় পরবর্তিতে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তাদের বিয়ে হবে মর্মে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা হয়।

এদিকে বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন খবর শুনে স্থানীয় সরকারেরহাট এলাকার রাকিবুল হাসান আশরাফী সোহেল ওই কনের বাড়িতে গিয়ে বরসহ সবাইকে আটক করেন। বাল্যবিয়ে না দেওয়া ও যৌতুক নেবেন না বলে বরপক্ষকে শপথ করান তিনি। এ সময় বর, বরের বাবা ও ঘটককে কান ধরিয়ে উঠবস করান সোহেল। সেই দৃশ্য তিনি নিজের ফোনেও ভিডিও করে রাখেন।

এর পর তাদের কান করিয়ে উঠবস করার ভিডিও ছড়িয়ে দিবেন বলে হুমকী দিয়ে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন সোহেল। সম্মান বাঁচাতে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাধ্য হয়ে সোহেলকে ৩০ হাজার টাকা দেন বরের বাবা। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরেও তিনি সেই ভিডিওটি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। পরে নেট দুনিয়ায় মুহুর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে রাকিবুল হাসান আশরাফী সোহেলকে অভিযুক্ত করে পাটগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বরের বাবা ফজলুল হক।

বাদি ফজলুল হক বলেন, ক্ষমতার জোরে আমাদের আটক করে সোহেল অনেক গালমন্দ করেছেন। এক পর্যয়ে তিনি সবার সামনে আমাদের কান ধরিয়ে উঠবস করিয়েছেন। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন। এর পরেও তিনি সেটি ভাইরাল করে দেন। এখন সবাই ভিডিওটি দেখে আমাদের বাজে কথা বলছেন। লজ্জায় আমরা বাবা-ছেলে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। বাধ্য হয়ে থানায় বিচার দিয়েছি।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।