ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট চালু হওয়ায় বাড়ছে পর্যটন

জয়ন্ত জোয়ার্দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২
টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট চালু হওয়ায় বাড়ছে পর্যটন

টাঙ্গুয়ার হাওর (সুনামগঞ্জ) থেকে ফিরে: পানির মধ্যে সারি সারি হিজল গাছ, পাখির কলকাকলি আর বিস্তীর্ণ আকাশ। দূরে মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়, ঝরনা আর হিজল বনের অপরূপ দৃশ্য দেখা মেলে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে।

নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে প্রতিনিয়তই আসছেন পর্যটকরা। ভ্রমণ পিপাষুদের কাছে এটি হয়ে উঠেছে অন্যতম পছন্দের একটি স্থান।

এখানে ভ্রমণের স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, নীলাদ্রি লেক, যাদুকাটা নদী, শিমুল বন, বারিক্কা টিলা, খরচার হাওর এবং মাটিয়ানা হাওরসহ আরও অনেক টুরিস্ট স্পট।  

হাওরের সৌন্দর্যকে আরও ভালোভাবে উপভোগ করতে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাউসবোট। অল্প খরচে পরিবার ও প্রিয়জনদের নিয়ে একসঙ্গে ঘুরে দেখার অন্যতম মাধ্যম এটি। অধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ এসব বোটে বেডরুম, ওয়াশরুম ও হাই-কমোড বাথরুম ও ফিল্টারিং পানির ব্যবস্থা।

বোট মালিকরা বলছেন, আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে দিন দিন টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। দেশে এই প্রথম এমন হাউসবোটে ঘুরে প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার আনন্দটা অন্যরকম। মাঝে-মধ্যেই বৃষ্টির শীতল ছোয়া যেন পর্যটকদের মনকে সিক্ত করে দেয়।

বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিবহুল অঞ্চল চেরাপুঞ্জির খুব কাছেই অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর। সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার অংশে এ হাওরের অবস্থান। হাওরের চারপাশে রয়েছে ৮৮টি গ্রাম । ছয় কুড়ি বিল আর নয় কুড়ি কান্দার সমন্বয়ে পরিচিত দৃষ্টিনন্দন বিলটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৭ কিলোমিটার।

হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটক সঞ্জয় কুমার দত্ত বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরের অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে এখানে বিভিন্ন জাতের পাখির দেখা মেলে। স্থানীয় জাতের পাখি ছাড়াও শীতকালে অনেক অতিথি পাখির দেখা মেলে। প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এটি খুব প্রিয় একটা স্থান।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে বাংলার জমিদার এবং বিত্তশালীদের কাছে নৌ-ভ্রমণ ছিল শখের বিষয়। তাদের নৌযানে থাকতো খাওয়া, ঘুমানোসহ নানান ব্যবস্থা। সেগুলোর কোনো কোনোটায় পাল লাগানো থাকতো। আর সেগুলো চালানোর জন্য থাকতেন চারজন করে মাঝি। সেই সময়ের চিন্তা থেকেই করা হয়েছে আধুনিক হাউসবোট। আর এতে নতুন কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

জলছবি বোটের মালিক হাসানুর রহমান উল্লাস বলেন, যারা পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসেন, তাদের কথা চিন্তা করেই মূলত হাউসবোট চালু করা। এসব বোটে আলাদা ছয়টি কক্ষে হাই-কমোড বাথরুম, ওয়াশ রুম, বই পড়ার সুব্যবস্থাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। বোট চালু হওয়ায় পর্যটনের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।