ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বিআইএমের গবেষণা জোরদারে হচ্ছে নতুন আইন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২
বিআইএমের গবেষণা জোরদারে হচ্ছে নতুন আইন

ঢাকা: গবেষণা কার্যক্রম জোরদারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এলক্ষ্যে আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, শিল্প মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবটি এনেছে। এটা আগে থেকেই ছিল। গভর্নমেন্ট এডুকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অডিন্যান্স-১৯৬১ এর অধীনে এটি প্রতিষ্ঠিত ছিল। তবে, আগে ছিল সরকারি অফিস হিসেবে, এখন আইনটি করা হলো। আইনের মধ্যে এটাকে একটা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। খসড়া আইনে ২১টি ধারা রয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখানে ১৫ সদস্যের একটি ইনস্টিটিউশন পরিচালনা পরিষদ থাকবে। আর শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকবেন সভাপতি। একজন মহাপরিচালক থাকবেন, বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। আর মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিয়োজিত হবেন এবং একটা কাঠামো থাকবে। এখন যেটা আছে সেটা পরীক্ষা করে যদি এটাতে না হয়, তাহলে পরিবর্তন করা হবে এবং এটার বাজেট তারা সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন করে নেবে। বাজেটে তাদের আয়-ব্যয় দেখানো হবে। যদি সরকার থেকে মঞ্জুরির প্রয়োজন হয় সেটা দেওয়া হবে।

খসড়া আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউট প্রতি বছর সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই ইনস্টিটিউটকে গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সেজন্য আইনের মধ্যমে ইনস্টিটিউট হিসেবে আলাদা প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। যাতে সরকারি বিধি-বিধানের মধ্যে না থেকে তারা স্বায়ত্তশাসিত বডি হিসেবে আমাদের সুশাসনের ক্ষেত্রে যেন একটা বড় রোল প্লে করতে পারে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ এবং বিশেষ করে সুশাসনের ক্ষেত্রে যে গবেষণার প্রয়োজন হয়, সেটা করবে। মূলত ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্য থাকে গবেষণা কাজটা খুব শক্তিশালী করা। এ কারণে আজকে আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে।

সনদগুলো কি ইনস্টিটিউট থেকে দেয়া হবে নাকি কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইনস্টিটিউট থেকে দেবে। তারা তো শুধু ডিপ্লোমা সনদ দেবে। মাস্টার্স বা গ্রেজুয়েশন সার্টিফিকেট দিবে না।

রির্সাচের জন্য খরচ সরকার দেবে না অন্য কোথাও থেকে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় টাকা এখন-ওখান থেকে আনে। তবে গবেষণার বিষয়টি ইনস্টিটিউটগুলোর কর্মপরিধির মধ্যেই থাকে। তারা যে বিভিন্ন কোর্স করাবে এবং নিয়োগ করে সেখান থেকে বড় অংকের টাকা-পয়সা পায়। এখন তাকে সব টাকা ট্রেজারিতে জমা দিয়ে সেখান থেকে কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু যখন ইনস্টিটিউট হয়ে যাবে তখন সে বাজেটে শো করবে এবং অর্থবিভাগের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় সভা হয়। সেই মিটিংয়ের মধ্যে ওগুলো অনুমোদন করে নিজেরা খরচ করবে, তবে এর একটা হিসাব অর্থবিভাগকে দিতে হবে। যদি সটেজ হয় তা নিয়ে নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।