ঢাকা, বুধবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২২
কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে ছবি: সংগৃহীত 

ঢাকা: আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্মেলন কক্ষে এক নিরাপত্তা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান নিরাপত্তা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন।  

এর আগে কমিটির সদস্যরা কক্সবাজার অপারেশন এলাকাসহ রানওয়ে সমুদ্রে সম্প্রসারণ কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় বিমানবন্দরের এয়ার সাইডের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়।
সভায় কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের জন্য বিমানবন্দর ও পাশ্বর্বতী এলাকার নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা ও তা সমাধানের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এভিয়েশন সিকিউরিটি ও এরোড্রাম সার্টিফিকেশনের দৃষ্টিকোণ থেকে বিমানবন্দর এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সংহত করার বিষয়ে বেবিচকের সদস্য ( নিরাপত্তা) প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। প্রস্তাবনায় তিনি এয়ার সাইড, টার্মিনাল ভবন ও ল্যান্ড সাইডের নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়টিও তুলে ধরেন।

প্রস্তাবনার বিষয়ে বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের এয়ার অধিনায়ক, এনএসআই-এর প্রতিনিধি, ডিআইজি, পুলিশ সদর দফতর, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, কক্সবাজার, পুলিশ সুপার, কক্সবাজার র‌্যাব-এর প্রতিনিধিসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা মতামত দেন। বক্তব্যে সবাই কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।  
সভায় বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছেন। তারই দিক নির্দেশনার কারণে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে ৬ হাজার ফুট থেকে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত করা হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথম সুপরিসর বিমানযোগে কক্সবাজারে অবতরণ করেন। তারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কক্সবাজার বিমানবন্দর সমুদ্রে সম্প্রসারণ কাজ এগিয়ে চলেছে। তিনি এ লক্ষ্যে সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করেন।

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের জন্য আইকাও-এর মানদন্ড অনুযায়ী টাওয়ার বিল্ডিং, ফায়ার ষ্টেশনসহ অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে পুনঃনির্মাণ প্রয়োজন হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

জানা গেছে, বিমানবন্দর এলাকা থেকে এ পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনাকারী ৬০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবশিষ্ট অবৈধ ভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

বেবিচক চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ বিমানবন্দর সবার। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের ক্ষেত্রে সব স্টেক হোল্ডারের মধ্যে সমন্বিত কার্যক্রম নিতে হবে এবং সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

এরপর, রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনের সময় বেবিচক চেয়ারম্যান বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।

প্রকল্প কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রানওয়ে সমুদ্রে সম্প্রসারণ কাজের বর্তমান অগ্রগতি ৩৬ শতাংশ। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০২৩ এর মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সভায় বেবিচকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিমানবাহিনী ঘাঁটি, কক্সবাজার-এর অধিনায়ক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং কক্সবাজার জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
এমকে/এসএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।