ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক হাবুকে খুন করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং হাবু হত্যা মামলার প্রধান আসামি যাত্রাবাড়ী থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মুশফিকুর রহমান ফাহিমকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
বুধবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন শিক্ষা ভবন ক্রসিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, গ্রেফতার ফাহিম যাত্রাবাড়ী এলাকায় ফুটপথসহ বিভিন্ন দোকানে চাঁদাবাজি করতো। এই চাঁদা তোলা নিয়ে হাবু আর ফাহিমের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে হাবুকে হত্যার পরিকল্পনা করে ফাহিম।
গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় আবু বক্কর সিদ্দিক হাবু যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডের নিরালা হার্ডওয়্যারের সামনে পৌঁছালে ফাহিম ও তার সহযোগীরা ঘিরে ধরে। পরে তারা ছুরি, চাপাতি ও সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হাবুর ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছুরিকাঘাতে হাবু পেটের ডান পাশে মারাত্মক আঘাত পায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবি প্রধান বলেন, ভুক্তভোগী হাবুর সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব ছিল। এছাড়া ফুটপাতের চাঁদা ও ডিস ক্যাবলের ব্যবসা নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এসব দ্বন্দ্বের কারণে পরিকল্পনা করে হাবুকে হত্যা করা হয়।
রিমান্ড আবেদন করে ফাহিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের বিষয়ে জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
পিএম/এমএমজেড
