ফরিদপুর: শোক দিবসের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টারের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলামকে মারধর করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টার। পরে এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।
হামলার শিকার হওয়া চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম জানান, শোক দিবসের আয়োজন সম্পন্ন করতে বেলা ১১টার দিকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক মঞ্চ তৈরিতে বাধা দেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে কিল-ঘুষি দেওয়া শুরু করেন। অনুষ্ঠানে তাকে সভাপতি না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এই হামলা করেছেন বলেও জানান নজরুল ইসলাম।
অপরদিকে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, সভাপতি হিসেবে নিরাপত্তাজনিত কারণে স্কুলের সামনের মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু স্কুলের এরিয়ার ভেতরে মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করলে মৌখিকভাবে নিষেধ করা হয়। বার বার বলা সত্ত্বেও নিষেধ না মানায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
তবে অনুষ্ঠানে তাকে সভাপতি না করায় মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন শামসুল হক।
এদিকে ঘটনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ফরিদপুরের কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতার মধ্যে আভ্যন্তরীণ কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
এফআর