ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টোকিওতে জাতীয় শোক দিবস পালিত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
টোকিওতে জাতীয় শোক দিবস পালিত

ঢাকা: টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। এসময় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সব শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়ায় দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। পরে অতিথি, জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি এবং জাপান আওয়ামীলীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

এছাড়া অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র -প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্বাধীনতার রুপকার। এ অবিসংবাদিত মহাপুরুষের দূরদর্শী, অকুতোভয় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমগ্র বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে। তাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ এবং স্বাধীন জাতির মর্যাদা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের গর্বিত অস্তিত্ব ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমাদের গৌরবজনক পরিচিতি এ মহান নেতার অবদান।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দূরদর্শী পররাষ্ট্র নীতির মাধ্যমে জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এছাড়া তিনি টোকিও দূতাবাস প্রতিষ্ঠা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাপান সফর সম্পন্ন করেছিলেন ১৯৭৩ সালে, যার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আর তাঁর দেখানো পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন।

এছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতার সংগ্রাম আর জীবন-কর্ম নিয়ে ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।