ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে দুই পরিবারে ৮ সদস্য অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
সিলেটে দুই পরিবারে ৮ সদস্য অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

সিলেট : ওসমানীনগরে প্রবাসী পরিবার ট্রাজেডির পর এবার আরেক ঘটনা ঘটলো নগরের উপকণ্ঠ বড়শালা এলাকার একটি বাসায়। ওই থেকে একই পরিবারের ৮ জনকে অচেতন উদ্ধার করা হয়েছে।

 

শনিবার (১৩ আগস্ট) উপকণ্ঠ এয়ারপোর্ট সড়ক সংলগ্ন বড়শালা সিলেট ক্লাবের পেছনে বশির মিয়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

অচেতন সদস্যরা হলেন- বড়শালা আবাসিক এলাকার ২৭/১ বাসার মতিন মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগম (৫০), তার ছেলে সোহানুর রহমান সাগর (১৭) মেয়ে নিগার সুলতানা (২৯), ওই বাসার বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন দে’র ছেলে সুবাস চন্দ্র দে (৬৫), শ্রীভাস চন্দ্র দে (৬০), নকুল দে’র ছেলে সত্যন দে (৩৫), শ্রীভাস চন্দ্রের স্ত্রী শিবানী চন্দ্র দে (৫২) ও গৌরি রানী দে (৫৭)।

খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে ওই বাসাটি পরিদর্শনে গেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা সদস্যরা।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী দুই পরিবারের সদস্য মোট ৯ জন। তাদের মধ্যে আটজন শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। অন্য সদস্য না খেয়ে ঘুমাতে যান। শনিবার খাবার খাওয়া ৮জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অপর সদস্য সুস্থ আছেন।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলে ভুক্তভোগীদের অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু তারা সাড়াশব্দ না করায় ঘরের দরজা ভেঙে অচেতন থাকাদের উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভুক্তভোগীদের মধ্যে চারজন নারী। দুজনের জ্ঞান ফেরেনি, যারা চেতা ফিরে পেয়েছেন তারা এখনও স্বাভাবিক হননি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মঈনুল জাকির বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিকেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ধারণা করা হচ্ছে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে বাসার দুটি ইউনিটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাসার রান্না ঘর থেকে চেতনানাশক পাউডার জাতীয় পদার্থ আলামত হিসেবে নিয়েছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, দুই পরিবারের নারী-পুরুষসহ ৮ সদস্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে ইফফাত নামে এক যুবককে পাওয়া যায়, তিনি এখন বাসা দুটি পাহারা দিচ্ছেন।

তার বন্ধু টিটু ওই পরিবারের সদস্য। তাদের ফোনে না পেয়ে বাসায় এসে এমন অবস্থা দেখতে পান ইফফাত। ঘটনার নেপথ্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চেষ্টা করছে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময় : ১৮৩৫ ঘণ্টা, ১৩ আগস্ট, ২০২২
এনইউ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad