ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নড়াইলে এসএম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
নড়াইলে এসএম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি

নড়াইল: আজ ১০ আগস্ট, বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৪ সালের এই দিনে তৎকালীন মহকুমা শহর নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে মাছিমদিয়া গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহন করেন।

বাবা মো. মেছের আলী, মা মাজু বিবি। জন্মের পর বাবা-মা আদর করে নাম রেখেছিলেন লাল মিয়া।

এদিকে বিশ্ববরেণ্য এই চিত্রশিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে নড়াইলে এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন, জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। প্রথমে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, শিল্পীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করা হয়। এরপর  শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফকরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়ের হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, এসএম সুলতান বেঙ্গল মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অনাদীবালা বৈরাগী।

এছাড়া জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, এস এম সুলতান বেঙ্গল চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়, লাল বাউল সম্প্রদায়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ সরকারি ও বে-সরকারি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শিল্পীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

পরে শিল্পীর জীবন ও কর্ম সর্ম্পকে ধারণা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি অডিও ভিজ্যুয়াল সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। এর মাধ্যমে দর্শনার্থীরা প্রথমে এসে তার দর্শন ও চিত্রকল্পের ধারণা নিয়ে শিল্প কর্ম দেখবেন এবং ধারণা পাবেন বিনামূল্যে।

চিত্রাঙ্কনের পাশাপাশি বাঁশি বাজাতেন সুলতান। তার হাতে প্রায়ই বাঁশি দেখা যেত। পুষতেন সাপ, ভল্লুক, বানর, খরগোশ, মদনটাক, ময়না, গিনিপিক, মুনিয়া, ষাঁড়সহ বিভিন্ন পশু-পাখি। তিনি বাড়িতে একটি মিনি চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হিংস্র প্রাণীকেও তিনি বশে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান ১৯৮২ সালে একুশে পদক ও ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সম্মাননা পান তিনি।

দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর চিরকুমার এই শিল্পী যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে নড়াইলের নিজ বাড়ির আঙিনায় তাকে সমাহিত করা হয়। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তার নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।