ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সদরঘাটে নেওয়া হচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২২
সদরঘাটে নেওয়া হচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, (জবি) : হঠাৎ তেলের দাম বৃদ্ধিতে ঢাকায় গণপরিবহন সীমিত হয়ে পড়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকার মূল সড়কগুলোয় যাত্রীদের ব্যাপক চাপ লক্ষ্য করা গেছে।

তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। সেখানে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক। লঞ্চে পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার (৬ আগস্ট) পর্যন্তই আগের ভাড়া নেওয়া হবে রাতে ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে তারা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন। কোনো ঘোষণা ছাড়াই জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে হতাশাও প্রকাশ করেছেন লঞ্চ মালিকরা।

বিকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে বিভিন্ন যাত্রীর সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। বেশিরভাগ যাত্রী জ্বালানির মূল্য বাড়ার বিপক্ষে কথা বলেছেন। তারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সাধারণের ওপর জুলুমের নামান্তর।

সাজ্জাদ হোসাইন নামে এক যাত্রী জানান, ব্যবসার কাজে ঢাকা এসেছিলেন তিনি। বাড়ি যাবেন। ঘাটে আসার সময় ব্যাপক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই সদরঘাট এসেছেন। লঞ্চে কোনো চাপ নেই। আগের ভাড়াই রেখেছে।

তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের আয়ের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এর মধ্যে সরকার তেলের দাম দ্বিগুণ করে আমাদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সরকারের উচিৎ আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে সকল সিদ্ধান্ত নেওয়া। হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত কখনই ভালো কিছু বয়ে আনে না।

লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে পূর্বের নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছি। রাতে আমরা লঞ্চ মালিকরা আলোচনা করে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। ভাড়া না বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে হতাশা প্রকাশ করে শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারের এ হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে আমরা নানা সময়ে লোকসানের মুখোমুখি হই। কতদিন আর লোকসান দিয়ে লঞ্চ ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যায়? করোনার কারণে লঞ্চ মালিকদের কোটি কোটি টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে। এবার তেলের দাম ৪০-৫০ শতাংশ বেড়ে যাওয়া আরও বড় লোকসান গুনতে হবে আমাদের।

এর আগে শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে ডিজেল, পেট্রল, কেরোসিন, ও অকটেনের দাম বাড়ানোর কথা জানায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪, কেরোসিনে ৩৪, অকটেনে ৪৬, পেট্রলে ৪৪ টাকা দর বেড়েছে। দাম বাড়ার পর লিটার প্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার পেট্রল ১৩০ টাকায় কিনতে হবে।

আগে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জ্বালানি ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে এ খুচরা মূল্য বহাল থাকবে।

এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করে সরকার। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত ছিল।

বাংলাদেশ সময় : ২০২৫ ঘণ্টা, ৬ আগস্ট, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।