ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শ্যামনগরে বাঁধ কাটতে বাধা দেওয়ায় পাউবো কর্মকর্তাকে যুবলীগ নেতার হুমকি!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২২
শ্যামনগরে বাঁধ কাটতে বাধা দেওয়ায় পাউবো কর্মকর্তাকে যুবলীগ নেতার হুমকি!

সাতক্ষীরা: উপকূল রক্ষা বাঁধ কাটতে বাধা দেওয়ায় পাউবোর সেকশন অফিসার সাজ্জাদুল ইসলামকে পিটিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার গাগড়ামারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মোস্তাক আহমেদ গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের শহর আলী গাজীর ছেলে।

এ ঘটনায় ওই পাউবো কর্মকর্তা শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার পাশাপাশি বাঁধ কাটার ঘটনায় মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে এজাহার জমা দিয়েছেন।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোমবার সকাল থেকে স্থানীয় ১০-১২ জন শ্রমিক গাবুরাকে ঘিরে থাকা গাগড়ামারী অংশের উপকূল রক্ষা বাঁধ কাটতে থাকেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেকশন অফিসার সাজ্জাদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে শ্রমিকরা পালিয়ে যান। এসময় গাবুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সেখানে গিয়ে জানান যে পানিশূন্য হয়ে পড়ায় তিনি তার চিংড়ির ঘেরে পানির ব্যবস্থা করতে শ্রমিক দিয়ে বাঁধ কেটে পাইপ বসাচ্ছেন। এসময় বাঁধ কাটতে নিষেধ করে পরে  একই কাজ করা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

একপর্যায়ে যুবলীগ নেতা মোস্তাক উত্তেজিত হয়ে তাকে ‘পিটিয়ে এলাকা ছাড়া’ করার হুমকি দিয়ে আর কোনোদিন গাবুরায় পা রাখতে নিষেধ করেন।

এসময় উত্তেজিত যুবলীগ নেতা তার ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

ঘটনার শিকার পাউবোর সেকশন অফিসার সাজ্জাদুল ইসলাম জানান, উপকূল রক্ষা বাঁধ কাটার বিষয়ে উচ্চ আদালত ও প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এসব জানা সত্ত্বেও বাঁধ কেটে পাইপ বসানোর চেষ্টা চলছিল। এ কাজে বাধা দেওয়ায় মোস্তাক আহমেদ তাকে মারধরের হুমকি দিয়ে এলাকায় যেতে নিষেধ করেন। ঘটনার পরপরই তিনি শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এছাড়া বাঁধ কাটার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।  

এ বিষয়ে মোস্তাক আহমেদ জানান, চিংড়ির ঘেরে পানি ওঠানামার জন্য বাঁধের নিচ দিয়ে কয়েক বছর আগে থেকে একটি পাইপ ছিল। সম্প্রতি বাঁধের কাজ করার সময় ওই পাইপ দেবে গেছে। ফলে চিংড়ির ঘেরে পানি দিতে নতুন একটি পাইপ বসানোর জন্য সামান্য বাঁধ কাটায় ওই কর্মকর্তার সঙ্গে ঝগড়া হয়। এসময় উপস্থিত লোকজন উত্তেজিত হয়ে সেকশন অফিসার সাজ্জাদুলকে রাগারাগি করে কিছু কথা বলে থাকতে পারেন বলেও তিনি দাবি করেন।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন পাউবোর এক কর্মকর্তা।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।