ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, বাঁধ বিধ্বস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২২
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, বাঁধ বিধ্বস্ত

নীলফামারী:  উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে ফের বাড়তে শুরু করেছে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি। কয়েক সপ্তাহ পানি কম থাকলেও সোমবার (১ আগস্ট) দুপুর থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

দুপুর ৩টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেমি) দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পানির চাপ বেশি হওয়ায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর বাম তীরের চরখড়িবাড়ি এলাকার দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বালুর বাঁধের ১০০ মিটার বিধ্বস্ত হয়েছে।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পূর্ব খড়িবাড়ী, কিছামত, ছোটখাতা, হরিশের চরসহ ৮টি চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে দুপুর ৩টার পর থেকে পানি বেড়ে বিপৎসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত পানি কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। বর্তমান পরিস্থিতিতে পানির প্রবাহ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাউবো প্রস্তুত আছে।

চরখড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা জানান, বাম তীরে যে বালির বাঁধটি রয়েছে, সেটি তারা স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করেছিলেন ৫ বছর আগে।

এ ব্যাপারে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঈনুল হক জানান, উজানের ঢল ও নদীর পানির চাপ বাম তীরে বেশি থাকায় বালির বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।