ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

স্মারকলিপি দিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে রনি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২২
স্মারকলিপি দিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে রনি

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি সোমবার বিকেলে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  স্মারকলিপি দিয়েছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই মুহূর্তে তিনি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আছেন।

বাংলানিউজকে মহিউদ্দিন রনি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কাল যখন জাফরুল্লাহ স্যার স্টেশনে গেলেন, তখন তাকেও সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি মনে করি, এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ অপমান। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে গেটে আটকে রাখা।

রনি বলেন, এ ঘটনা থেকে আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন তারা কতটা নির্দয়, দুর্নীতিগ্রস্ত। তো, তাদের কাছে আমার কোনো আশা নেই। তাই, অনেক আশা করে আজ এখানে এসেছি। আশার সুযোগ পেয়েছি, বাধাহীন।

এর আগে, গতকাল দিনভর নাটকীয়তার মধ্যেই বিকেলে কমলাপুর স্টেশনে যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে সেখানে যোগ দেন গনঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

তবে, কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরে, রাত ১১টা নাগাদ প্রায় ৬ ঘণ্টা স্টেশনের বাইরে অপেক্ষা করে তারা ফিরে যান।

রেলওয়ের সামগ্রিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবি নিয়ে গত ৭ জুলাই থেকে একক অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তিনি ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে, দেশের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে মহিউদ্দিনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দেশীয় গণমাধ্যমের পাশাপাশি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে।

তার ৬ দফা দাবিগুলো হল—সহজ ডটকম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট; টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ; টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতকরণ; ট্রেনের জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ; ট্রেনের সিট সংখ্যা বা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো; একইসঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই, ২০২২
এমকে/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।