ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

‘এক মা জন্ম দিলেন, আরেক মা শেখ হাসিনা দিলেন আশ্রয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
‘এক মা জন্ম দিলেন, আরেক মা শেখ হাসিনা দিলেন আশ্রয়’

ফেনী: ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, ‘যাদের কোনো ঘর নেই, এক টুকরো জমি নেই। তারা বোঝেন ভূমি ও ঘরহীন থাকা কতটা কষ্টের।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সেই সব ঘর-ভূমিহীন মানুষকে মাথা গোঁজার ঠায় দিয়েছেন। এক মা জন্ম দিয়েছেন আরেক মা শেখ হাসিনা আশ্রয়হীন মানুষগুলোকে আশ্রয় দিয়েছেন। আশ্রয়হীন মানুষগুলো তাদের বক্তব্যে বলেছেন নিজের মা জন্মদাত্রী, শেখ হাসিনা আশ্রয়দাত্রী। ’ 

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ফেনী সদর উপজেলা মিলনায়তনে ৪৩৩টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বুঝিয়ে দেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

এ সময় নিজাম হাজারী আরও বলেন, সারা পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দা। পৃথিবী এখন জ্বালানি সংকটে আছে। সে কারণে সারা পৃথিবীতেই বিদ্যুতের সংকট। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে এসি চালালে বড় অংকের জরিমানা গুণতে হচ্ছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকট নেই। সংকটে যাতে পড়তে না হয় সেজন্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।  

ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীনদের জমির দলিল ও নির্মাণকৃত গৃহগুলোর চাবি প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। একই সময় ফেনী জেলার ফেনীর ৪৩৩টি পরিবারের মাঝে চাবি হস্তান্তর করেন ও চার উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।  

ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শহীদ খোন্দকারের সঞ্চালনায় এসময় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল-হাসান, ফেনী পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, সাবেক মেয়র হাজী আলা উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়া অং প্রু মার্মা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহীদ খোন্দকার প্রমুখ।

অপরদিকে আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে আনন্দের জোয়ার বইছে অসহায় ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে আশ্রয় পেয়ে আবেগ আপ্লুত তাদের অনেকেই।

নাজমুল হক নামের একজন বলেন, ‘আগে অনেকে আমাদের যাযাবর বলতো, এখন আমাদের বাড়ি আছে। ’

প্রথম ধাপে ঘর পাওয়াদের মধ্যে সখিনা খাতুন বলেন, ‘তারা নিজেদের ঘরের আঙ্গিনায় বাগান করছে, হাঁস-মুরগি পালন করছে। তারা তা খাচ্ছে ও বিক্রি করছে। করছে অন্যান্য কাজও। ’

দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার দলিলসহ গৃহের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে ফেনী সদর উপজেলায় ২২টি, সোনাগাজী উপজেলায় ২০০টি, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২টি, দাগনভূঞা উপজেলায় ১৬৬টি, পরশুরাম উপজেলায় ১৯টি, ফুলগাজী উপজেলায় ২৪টি  ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে। এর আগে প্রথম দফায়ও জেলায় ৮৩২টি পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করা হয়।

ফেনীর জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জানান, পরে দাগনভূঞা ও সোনাগাজীর আরও একশ’ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করা হবে। ঘরগুলো হস্তান্তরের পর পুরো ফেনী জেলা গৃহহীনমুক্ত হবে। তারপরও কেউ যদি নতুন করে গৃহহীন হয় বা নতুন করে আবেদন করে তাহলে পর্যায়ক্রমে তাদেরও ঘর দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।