ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের ২৫টি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।  

রোববার (১৭ জুলাই) কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলদাইড় দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২৫টি আকাশমণি গাছ কেটে বিক্রি করা হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও শিমুলদাইড় দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান মুকুল এবং সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বেলালের নির্দেশে তাদের লোকজন শনিবার (১৬ জুলাই) থেকে গাছ কাটা শুরু করেন। রোববার কাটা গাছগুলো মোট ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা।  

শিমুলদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোখলেসুর রহমান বলেন, স্কুলের পক্ষ থেকে মাঠে গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ তাদের শরিকরা নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে গাছগুলো কেটেছেন।  

চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য  মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আমরা সবাই শরিক। ওই স্কুলের জমি আমাদের বাপ-দাদার নামে রেকর্ড করা। তাই স্কুল কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুলের নির্দেশে গাছগুলো কেটে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।  

এদিকে এ বিষয়ে জানতে বার বার ফোন কল দেওয়া হলেও ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল রিসিভ করেননি।  

তবে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বেলাল বলেন, স্কুলের কোনো জমি নেই, আমাদের জায়গার ওপরই স্কুল প্রতিষ্ঠিত। রেকর্ডপত্র আমাদের নামে। এ কারণে আমাদের শরিকরা গাছগুলো কেটেছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি জানার পর সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পেরেছি। যারা গাছগুলো কেটেছেন, তাদের নিজেদের জায়গা বলে দাবি করছেন। তারা বলছেন, স্কুলের কোনো জায়গা নেই। কিন্তু নিজস্ব জমি ছাড়া স্কুল কখনো সরকারি করা হয় না।  

তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। খুব দ্রুতই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।