ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই, ৩৩ দিন পর গ্রেফতার ৪

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই, ৩৩ দিন পর গ্রেফতার ৪

নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকা থেকে ডাচ্‌-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এক কর্মীর কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ৩৩ দিন পর চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

এসময় ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে নগদ চার লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা ও তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গনিপুর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন (৩৭), ৪ নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর এলাকার এছাক মিয়ার বাড়ির মো. আবুল কাশেমের ছেলে যুবায়েদ হোসেন বিপ্লব (২৮), ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজিপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে পারভেজ (৩০) এবং ১১ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত অজি উল্যার ছেলে আমিরুল ইসলাম সুজন (২৯)।  

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।  

তিনি জানান, বুধবার চার ছিনতাইকারীকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একাধিকস্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদে এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতারকৃতরা।  

এসপি আরও জানান, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী দুই ভাই ইয়াছিন আরাফাত রহিম (৩২) ও মহিউদ্দিন সোহাগ (৩৮)। তারা উপজেলার গনিপুর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে তারা পালিয়ে গেছেন। তবে তাদের বসতঘর থেকে চার লাখ ১৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ চক্রের বাকি সদস্যদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা জানান, ছিনতাইয়ের টাকা নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন তারা। তাদের মধ্যে সুজন দুই লাখ টাকা, বিপ্লব এক লাখ টাকা, পারভেজ এক লাখ টাকা ভাগ পেয়েছেন। বাকি টাকা সোহাগ নিজের কাছে রেখে দেন। ঘটনার দিন ঘটনাস্থলের আশেপাশে থেকে সোহাগ টাকা বহনকারীর গতিবিধি সুজনকে জানান এবং আব্দুর রহিম রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পালাতে সহায়তা করেন। ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি আব্দুর রহিমের। সেটি সুজনের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

এর আগে ২০ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আটিয়াবাড়ির পোল সংলগ্ন এলাকায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মাস্টার এজেন্ট পয়েন্ট থাকে। এ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে অন্যান্য সাধারণ এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে টাকা সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিনের মতো গত ২০ জুন সকালের দিকে চৌমুহনী ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাস্টার পয়েন্ট থেকে তাদের কর্মী মোজাম্মেল হক জামসেদ ১৯ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। ওই টাকা তিনি বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা এজেন্টদের কাছে বিতরণের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। মোজাম্মেল হক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে আটিয়াবাড়ি পোল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা তিন যুবক আরেকটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তার গতিরোধ করেন।  

এসময় তারা মোজাম্মেলের কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় গত ২১ জুন চৌমুহনী ডাচ্-বাংলা ব্যাংকিংয়ের মাস্টার এজেন্ট মোহাম্মদ সাইফুল বাশার (৪৩) বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনের নামে ১৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।