ঢাকা, রবিবার, ২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ জুন ২০২৪, ০৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জনগণ এবং সিটি কর্পোরেশন একসঙ্গে কাজ করবে: আতিক 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২২
জনগণ এবং সিটি কর্পোরেশন একসঙ্গে কাজ করবে: আতিক  ছবি: শাকিল আহমেদ 

ঢাকা: এবারের মতো আগামী দিনেও জনগণ এবং সিটি কর্পোরেশন একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (১১ জুলাই) কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা নিয়ে দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নগর ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, এবার ৪ হাজার ২৬৭ টি ট্রিপে প্রায় ২০ হাজার টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। নগরবাসীর সহায়তায় গতকাল রাত ১০টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি। এজন্য আমি সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মূলত, এটি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম আমরা।  

মেয়র জানান, আমরা কোরবানির আগের দিনের ক্যালকুলেশন করেছি সবগুলো ওয়ার্ডে কী পরিমাণ বর্জ্য থাকবে, সে বর্জ্য অপসারণে কতগুলো গাড়ি লাগবে, কীভাবে অপসারণ করা হবে, ফলে কাজটি সহজ হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অনেকে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন আমি তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরো জানান, সিটি কর্পোরেশনের তরফ থেকে এ বছর বর্জ্য অপসারণে মোট ৬ লক্ষ ৫০ হাজার পলিব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে যেগুলো ৩৫ কেজি ভার বহনে সক্ষম৷ একই সঙ্গে ৬০ টন ব্লিচিং পাউডার, আনুমানিক ৯০০ ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে। মোট ৬০০টি যানবাহন বর্জ্য পরিবহনে নিয়োজিত ছিল। খোলা হয়েছিল অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি ঈদের পরদিনই যাতে মানুষ একটা সুন্দর পরিবেশ পায়। অনেকেই বলেছে, স্যার ২৪ ঘণ্টার সময় নেন। আমি বলেছি, না। ইচ্ছে থাকলে যে উপায় হয়, তার প্রমাণ ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি।

নির্ধারিত একটি জায়গা করে সবাইকে কোরবানি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, এটি করার জন্য বিভিন্ন স্থানে প্যান্ডেল তৈরির আনুষঙ্গিক ব্যয় সিটি কর্পোরেশন বহন করবে। এবার ৩টি জায়গায় করেছি। এর মধ্যে মিরপুরে ৬ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৭টি প্যান্ডেলে। এজন্য কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এ কাজের উপহার হিসেবে  মিরপুর ৭ নং ওয়ার্ডের একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

মেয়র জানান, এবারই প্রথম জবেহ স্থান থেকে মাংস ডেলিভারির জন্য দুটি ডেলিভারির ভ্যান সিটি কর্পোরেশনের তরফ থেকে মোতায়েন করা ছিল। যারা, জবাইস্থল থেকে মাংস পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছেন। ঈদের পর থেকে আধুনিক জবাইখানা নির্মাণ করার কাজ শুরু হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মো. মাহে আলম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভাগের প্রধান কমোডর এস এম শরিফ উল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২২
এমকে/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।