ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৩৫ মণ ওজনের রাজাবাবুর দাম ১৫ লাখ টাকা

মাছুম কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২২
৩৫ মণ ওজনের রাজাবাবুর দাম ১৫ লাখ টাকা ছবি: শাকিল আহমেদ

শাজাহানপুর (ঢাকা) পশুরহাট থেকে: কেউ কেউ পিকআপ ভ্যান বা কাভার্ড ভ্যান থেকে গরু নামাচ্ছেন। কেউবা গরুর পাশে বসেই একটু ঝিমিয়ে নিচ্ছেন।

কেউ কেউ খেতে বসেছেন। আশপাশেই চলছে গরুর দর-দাম, হাঁকাহাঁকি, ডাকাডাকি। মাইকে বারবার বিভিন্ন নির্দেশনার ঘোষণা ভেসে আসছে।

বুধবার (৬ জুলাই) এমন চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর শাজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মৈত্রী সংঘ মাঠের পশু বাজারে।

আগামী ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত এ ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এরইমধ্যে জমে ওঠেছে পশুর হাট।

বুধবার রাজধানীর শাজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মৈত্রী সংঘ মাঠ ঘুরে দেখা যায়- এ বাজারে ৩৫ মণ ওজনের হলস্টেন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়ের মূল্য হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। নাম তার রাজাবাবু। জামালপুরের ইসলামপুর থেকে রাজাবাবু নামে গরুটি নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী লাল মিয়া।

কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, বিশাল এ ষাঁড়টিকে শুধু খৈল, ভুষি খাইয়ে পেলে-পুষে বড় করেছেন তিনি। ফলে খরচ হয়েছে বেশি। তাই এমন দাম চাচ্ছেন। ষাঁড়টিকে এক নজর দেখার জন্য অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন আশপাশে। মোট ৩টি গরু নিয়ে এসেছেন লাল মিয়া। তিনি আশা করছেন গরুগুলো বিক্রি করে লাভবান হবেন।

একই বাজারে জামালপুরের ঢালুচর এলাকা থেকে শহীদ মোট ১২টি গরু নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। এরমধ্যে একটি ষাঁড় রয়েছে যার ওজন ১৫ মণ। ‘জয় বাংলা’ নামে এ ষাঁড়ের মূল্য ৫ লাখ টাকা হাঁকিয়েছেন তিনি।

ইসলামপুরের কুরের চর থেকে মো. আবেদ আলী নিয়ে এসেছেন মোট ১২টি গরু। তার সঙ্গে এসেছেন আরও ৪ জন। প্রতিটি গরু গড়ে ২-২.৫ লাখ টাকা দাম চান তারা।

এ বাজারে বড় গরুর পাশাপাশি মাঝারি ও ছোট গরুরও দেখা মিলেছে। গরু কিনতে বাজারে আসা কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে এসেছি ঘুরে দেখতে। পছন্দ হলে আজই কিনে ফেলব। না হলে দুই-একদিন পর। এখানে মোটামুটি শৃঙ্খলা আছে। তাই অন্য জায়গায় না গিয়ে এ হাটে এসেছি।

হাটের ইজারাদার আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, হাটে যাতে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদ থাকেন, তার জন্য এখানে শাজাহানপুর থানা পুলিশের একটি দল নিয়োজিত আছে। আমরা পুরো হাটে সিসিটিভির ব্যবস্থা করেছি। একই সঙ্গে জাল নোট শনাক্তকরণের জন্য একাধিক মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।

গরুর পাশাপাশি হাটে ভেড়া, ছাগল, দুম্বাও দেখা গেছে৷ তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এখনো পুরোপুরি জমে ওঠেনি হাট। কাল-পরশু নাগাদ হাট জমে উঠবে। দূর-দূরান্ত থেকে বয়ে আনা এসব পশু বিক্রি করে বেশ লাভবান হবেন, এমনটিই প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ৬ জুলাই, ২০২২
এমকে/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad