ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে বান্দরবানের গ্রাহকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২২
লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে বান্দরবানের গ্রাহকরা

বান্দরবান: বান্দরবানে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে সাধারণ মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

অনেকেই ক্ষোভ ঝাড়ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবার অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করছে সরাসরি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় প্রায় অর্ধেক সরবরাহ পাওয়ায় লোডশেডিং চলমান রয়েছে।
 
বান্দরবান বাজারে অনলাইনে আবেদন করতে আসা মো. রফিক বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন আবেদন থেকে শুরু করে অসংখ্য কাজ কম্পিউটারে অনলাইনে করতে হচ্ছে। যে কাজ করতে কম্পিউটারে ২০ মিনিট সময় লাগার কথা সেখানে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার কারণে দুই ঘণ্টায়ও শেষ করতে পারছি না। নিরবচ্ছিন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে আমাদের ভোগান্তি অনেকটাই কম হত।
 
বান্দরবানের প্রধান সড়কে অবস্থিত তাকওয়া কম্পিউটারের স্বত্ত্বাধিকারী মো. ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, দিনে রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ ঠিকমত না থাকায় আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে কষ্ট হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, অনেক সময় ক্রেতাদের কাজ কম্পিউটারে করার পর প্রিন্ট দিলে বিদ্যুৎ চলে যায়, সেসময় কাগজ আটকে বসে থাকে প্রিন্টারে, আর অনেকক্ষণ পরে বিদ্যুৎ এলেও ওই ক্রেতা চলে যায় টাকা না দিয়ে, এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
 
বান্দরবানের বালাঘাটার বাসিন্দা মো. আইয়ুব বাংলানিউজকে জানান, একটু বৃষ্টি বা বাতাস হলেই বান্দরবানে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায় কয়েক ঘণ্টা, এর মধ্যে লোডশেডিং তো নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বান্দরবানের লোডশেডিং চরম পর্যায়ে চলে গেছে, এই অবস্থা থেকে আমরা উত্তরণ চাই।
 
সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ বান্দরবানের আওতায় বান্দরবান জেলা সদরে ১৭ হাজার ৮৫৩ জন, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১ হাজার ৮শ জন, থানচি উপজেলায় ১ হাজার ২শ জন আর রুমা উপজেলায় ২ হাজার জন গ্রাহক রয়েছে, কিন্তু চাহিদা মাফিক পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় দিন দিন বান্দরবানের লোডশেডিং চরম ভোগান্তির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
 
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বান্দরবানের বিদ্যুৎ সরবরাহের অবস্থা ভয়াবহ।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের চাহিদা হলো প্রায় ১১ মেগাওয়াট আর আমরা বরাদ্দ পাচ্ছি ৬ মেগাওয়াট। এ কারণে আমাদের লোডশেডিং বেশি করতে হচ্ছে। জুলাই মাসের ৩, ৪ ও ৫ তারিখ আমাদের শেডিং চলেছে। আমাদের আওতায় ১৭টি ফিডার রয়েছে তার মধ্যে এক ঘণ্টা পরপর পালাক্রমে প্রতিটি ফিডারে শোডিং করতে হয় আর এর ফলে গ্রাহকদের সাময়িক কষ্ট হচ্ছে।  

আমির হোসেন বলেন, ঢাকার ন্যাশনাল লোড ডিস্ট্রিবিউটর থেকে চাহিদা মাফিক পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হলে আমাদের লোডশেডিং থাকতো না। চাহিদা বেশি, বরাদ্দ কম তাই সবাই লোডশোডিং এ কষ্ট পাচ্ছি। কবে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে তা বলা মুশকিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।