ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলার বাদশার দাম ২৫ লাখ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২২
বাংলার বাদশার দাম ২৫ লাখ বাংলার বাদশা নামে গরুটি

নারায়ণগঞ্জ: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। প্রতিবছর দেশে কোরবানি উপলক্ষে ওজন ও দামে আলোচনায় থাকে চমকপ্রদ নামের অনেক পশু।

এবার নারায়ণগঞ্জ জেলায়ও সেই রকম আলোচনায় আছে ‘বাংলার বাদশা’।

এ জেলার সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে দাবি করা হয়েছে ‘বাংলার বাদশা’কে। গরুটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন লোকজন ছুটে আসছেন।  বিশাল আকৃতির এ গরুর উচ্চতা ২০১ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ৩৩৫ সেন্টিমিটার, আর ওজন প্রায় ১ হাজার ২শ’ কেজি বা ৩০ মণ। ষাঁড়টি গায়ের রং কালো।

মালিক গরুটির দাম হাঁকিয়েছেন ২৫ লাখ টাকা। ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি তিন বছর ধরে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন পালন করে আসছে আমিষ এগ্রো।

আমিষ এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান বিল্লাল জানান, বাংলার বাদশাকে দেখাশোনা করেন দু’জন লোক। প্রতিদিন তার খাবারের তালিকায় থাকে- প্রায় পাঁচ কেজি ভেজানো ছোলা, গমের ভুসি, ভুট্টা ভাঙা, সয়াবিন মিল, সরিষার খোল, রাইস পলিশ এবং সবুজ কাঁচা ঘাস। ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুকে প্রতিদিন দু’বার করে গোসল করাতে হয়।

তিনি আরও বলেন, গরুটির দাম ২৫ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে। তবে দাম দরে বনলে কম করে হলেও বিক্রি করে দেবো। বাংলার বাদশার খাবারের জন্য প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক টাকা ব্যয় হয়। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখেছি, সে অনুযায়ী আমি দাবি করতে পারি যে, এ গুরুই বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় গরু।

দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করে আসছি। ঈদে বিক্রি হয়ে যাবে, এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে। এবার ঈদে যদি বাইরে থেকে গরু না আসে, তাহলে হয়তো আমরা আমাদের প্রকৃত মূল্য পাব। আকর্ষণীয় হওয়ায় ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

মতিউর রহমান বিল্লাল আরও জানান, তাদের কাছে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আরও পাঁচ শতাধিক গরু, ১০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত শতাধিক ছাগল, ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫৪টি দুম্বা কুরবানির জন্য বিক্রয় উপযোগী রয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার বলেন, এবারো ক্রেতাদের চাহিদা ও সুবিধার কথা চিন্তা করে হাটের পাশাপাশি অনলাইনে গরু কেনাবেচার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অনলাইন খামারে গরু বেচাকেনা জমে উঠেছে। এবার অনলাইনে পশু বিক্রি ২০০ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে খামারিরা আশা প্রকাশ করেছেন। হাটগুলোতে থাকবে প্রাণিসম্পদের মেডিক্যাল টিম। বাইরে থেকে দেশে গরু আসবে না। তাই আশা করি খামারিরা ন্যায্য দামই পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২২
এমআরপি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।