ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে নতুন উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২২
‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে নতুন উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছে’

ঢাকা: পদ্মা সেতুর ফলে সড়ক ও রেলওয়ের মাধ্যমে পূর্ব দিকে ভারত হয়ে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত এবং পশ্চিম দিকে ভারত হয়ে ইউরোপের সঙ্গেও সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে নতুন উচ্চতায় নিজেদের স্থান করে নিয়েছে বলেও তিনি জানান।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা জানান।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পদ্মা সেতুর ব্যয় ও এই সেতু নির্মাণে যে সব প্রযুক্তি ও বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যেভাবে নকসা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করা যে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় তিনি এই সেতুর ব্যয় বৃদ্ধির কারণগুলাও তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১টি জেলার কম বেশি তিন কোটি মানুষ আত্ম সামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নতি হবে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ১.৩ শতাংশ। এই স্টাডিটি করা হয়েছিল ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে। আমাদের তখনকার অর্থনৈতিক অবস্থা এত গতিশীল ছিল না। বর্তমানে অর্থনৈতিক অবস্থার যে উন্নতি করেছি তাতে আমরা আরও বেশি লাভবান হবো। জিডিপির প্রবৃদ্ধি আরও উন্নত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ফিজিবিরিটি প্রেক্ষিতে টোল আদায়ের যে হার ধরা হয়েছিল সে অনুযায়ী ২৫/২৬ বছরে সেতুর খরচ উঠে আসার পূর্বাভাস ছিল। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই টাকা। আমাদের সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারের অর্থ বিভাগের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেছে। শতকরা এক ভাগ রেট অব ইন্টারেস্টে ২৫ বছরে সেতুর খরচ সরকারকে ফেরত দেবে। সেই চুক্তি করেই বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সেতু কর্তৃপক্ষ লোন নিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ আমাদের নিজের টাকায়, বাংলাদেশের টাকায়। তবে আমি মনে করি এই সেতুর টাকা আরও অনেক আগে আমরা তুলে ফেলতে পারবো। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরও বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতুর সফল সমাপ্তি আমাদের একত্রিত হওয়ার প্রেরণা জোগাবে। যেকোনো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার ঘাটতিকে পূরণ করবে। এশিয়ান হাইওয়ের সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। এশিয়ান হাইওয়ে বাস্তবায়নে যে মিসিং লিংক ছিল সেটা পদ্মা সেতু। এশিয়ান হাইওয়ে ও এশিয়ান রেলওয়ে বাস্তবায়ন হলে এই সেতু হাইওয়ে এবং রেলওয়ের ক্ষেত্রে পূর্ব দিকে ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত সংযুক্ত হওয়া যাবে। পশ্চিম দিকে ভারত, পাকিস্তান আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক, ইউরোপের সঙ্গেও সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না। বাংলাদেশ বিশ্বে নতুন উচ্চতায় নিজেদের স্থান করে নিয়েছে এই পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৪ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২২
এসকে/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।