ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাভারে শিক্ষক হত্যা: সাড়ে ১৯ বছরের জিতুকে এজাহারে দেখানো হয়েছে ১৬!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
সাভারে শিক্ষক হত্যা: সাড়ে ১৯ বছরের জিতুকে এজাহারে দেখানো হয়েছে ১৬! জিতু

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষককে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যাকারী আশরাফুল ইসলাম জিতু ওরফে ‘জিতু দাদা’র বয়স মামলার এজাহারে ১৬ বছর দেখানো হয়েছে। অথচ জন্ম সনদ ও নবম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী তার বয়স ১৯ বছর ৬ মাসে পরেছে।

 

বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম।

অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যালয়ে জন্ম সনদ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তারা ভর্তি করে থাকে। সেই অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করা হয়। জন্ম সনদে জিতুর জন্ম তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০০৩। সেই জন্ম সনদ দেখে জিতুর নবম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। সে অনুযায়ী, তার বয়স ১৯ বছর ৬ মাস।

তিনি বলেন, জিতু মাদ্রাসায় পড়েছে, লেখাপড়ায় অনিয়মিত ছিল। ইয়ার ড্রপ দিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। ভর্তির সময় আমরা জন্ম সনদে উল্লেখিত জন্ম তারিখ অনুযায়ী তাকে ভর্তি করি। নবম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশনে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ রয়েছে ১৭ জানুয়ারি ২০০৩। কিন্তু মামলায় বয়স দেখানো হয়েছে ১৬ বছর।

এই মামলার বাদি উৎপল কুমারের ভাই অসীম কুমার। তিনি বলেন, মামলায় জিতুর বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ১৬ বছর, প্রকৃত বয়স উল্লেখ করা হয়নি। প্রকৃত বয়স উল্লেখ না করলে ওর বিচার হবে কিশোর আদালতে, আর প্রকৃত বয়স উল্লেখ করলে বিচার হবে সাধারণ আদালতে। মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর প্রকৃত বয়স উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া আমার ভাইকে হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। ভাই হত্যার বিচার চাই। এ ছাড়া আমাদের আর কিছুই চাওয়ার নেই।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন সরদার (বিপিএম, পিপিএম) বলেন, মামলায় অভিযুক্তের বয়স কম দেখানো হয়েছে এটা বিষয় না। মামলায় কি দেখানো হল এটা গুরুত্বপূর্ণ না, প্রয়োজনে ডাক্তারি পরীক্ষা করে নিয়ে আসব। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করি ডাক্তারি পরীক্ষা করে নিয়ে আসা। এই ক্ষেত্রেও এমনটা করা হবে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে হাজী ইউনুস আলী কলেজে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলার সময় পেছন থেকে শিক্ষক উৎপলকে কাঠের স্টাম্প দিয়ে হামলা করে ‘জিতু দাদা’। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে এক দিন পর রোববার (২৬ জুন) চিকিৎসাধীন শিক্ষকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রোববারেই নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় জিতুর নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার চারদিন পর আজ (২৯ জুন) সকালে জিতুর বাবাকে কুষ্টিয়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। একই দিন জিতুকে গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এদিকে আদালত জিতুর বাবাকে ৫ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ২৯ জুন, ২০২২
এসএফ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।