ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পাবনার ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র বরখাস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
পাবনার ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র বরখাস্ত খ. ম. কামরুজ্জামান মাজেদ।

পাবনা: পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও পৌরসভার টাকা তসরুপসহ ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে পাবনার ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র খ. ম. কামরুজ্জামান মাজেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।  

সোমবার (২০ জুন) দুপুরে স্থানীয় সরকার বিভাগ, পাবনার উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

এর আগে রোববার (১৯ জুন) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমানের দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র খ. ম. কামরুজ্জামান মাজেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের স্থানীয় ব্যক্তিরা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে দুদক অভিযোগগুলো স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করতে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তে বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট ও ব্রিজ নির্মাণসহ বেশ কিছু অভিযোগের দুর্নীতির বিষয় প্রমাণিত হয়। গত ২৪ এপ্রিল আমি মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে গতকাল তাকে বরখাস্ত করা হয়।

এ বিষয়ে বরখাস্তকৃত মেয়র খ. ম. কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আমার কাজকর্ম সমস্ত কিছু দৃশ্যমান। ৪০ বছরের রাজনীতিতে ৩ বার মেয়র হয়েছি। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে, আমি দুর্নীতি করেছি। আমার দলের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার মনোনয়ন আটকানোর জন্য নির্বাচনের আগে কিছু অভিযোগ দিয়েছে। সেই অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা না পেলেও আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, গত বছরের জানুয়ারিতে পাবনার ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মেয়র খ. ম. কামরুজ্জামান মাজেদ তৃতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। এর আগে বিএনপির দূর্গ হিসেবে খ্যাত এই পৌরসভায় ২০১১ ও ২০১৫ সালে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাজেদ। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ মানুষ মেয়র মাজেদ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।  

তারা বলেন, মেয়র মাজেদ এলাকার সাধারণ ভোটার ও সেবাগ্রহিতাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকেন। আত্ম অহংকারী মেয়র মাজেদের কারণে দলের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পালন করতে পারে না। তার স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণে এলাকার মানুষ তাকে খুব একটা পছন্দ করে না। তাই সরকারের পৌরসভা ও গ্রাম উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে দায়িত্বশীল একজনে পৌরসভার দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান স্থানীয়দের।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।