ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দেশে ৯.৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে: নসরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
দেশে ৯.৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে: নসরুল

ঢাকা: সর্বশেষ হিসাবে অনুযায়ী দেশে ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ ছিল ৩৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য (২পি) মজুদের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ১৯ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করার ফলে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রায় ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশের ৩০টি জেলায় বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকের (বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প, সার কারখানা, সিএনজি, গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও চা বাগান) নিকট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। মজুদকৃত দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের সাথে চাহিদার তুলনায় ঘাটতি আছে, যা সমন্বযয়ের লক্ষ্যে বর্তমানে এলএনজি আমদানিসহ দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রসমূহের উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার (অনশোর ও অফশোর) জন্য নানামুখী কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।

সংসদ সদস্য মোজাফ্ফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, পেট্রোবাংলা গৃহীত চলমান ৩৪টি প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ ১৪ হাজার কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৩ হাজার ৮১ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং দেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ হাজার ৯১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

নসরুল হামিদ আরও জানান, পেট্রোবাংলার ডিপিপি অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন ৯টি প্রকল্পে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৩ হাজার ৪৩৪ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার লাখ টাকা। বিদেশি বিনিয়োগ নেই, সবটাই বিনিয়োগ।

সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রসমূহ থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় ২ হাজার ৩০৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে আটটি গ্রাহক শ্রেণিতে (বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প, সার কারখানা, সিএনজি, গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও চা-বাগান) সংযোগকৃত অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা দৈনিক গড়ে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, চাহিদার তুলনায় দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রসমূহ থেকে উৎপাদন কম হওয়ায় দৈনিক প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট রি-গ্যাসিফাইড এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার তুলনায় ঘাটতি মেটানোর জন্য দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের (অনশোর ও অফশোর) লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।