ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ভাণ্ডারিয়ায় ১৬ মামলা দিয়ে সাংবাদিক ও তার পরিবারকে হয়রানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
ভাণ্ডারিয়ায় ১৬ মামলা দিয়ে সাংবাদিক ও তার পরিবারকে হয়রানি লোকমান হোসেন

পিরোজপুর: পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মো. লোকমান হোসেন নামে এক সাংবাদিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ১৬টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গত ১১ বছরে ওই মামলা দেওয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।

ভুক্তভোগী সাংবাদকর্মী লোকমান হোসেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ’ ও বরিশাল থেকে প্রকাশিত ‘কলমের কণ্ঠ’ পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও ভাণ্ডারিয়া প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য।

জানা গেছে, প্রতিপক্ষের সঙ্গে ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিকের শ্বশুরের মাত্র দুই শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক লোকমান ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকিসহ পরিবারের সদস্যদের একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক জানান, উপজেলার লক্ষ্মীপুরা গ্রামের সাবেক ব্যাংকার রুহুল আমিন হাওলাদার একটি মিথ্যা গল্প কাহিনী সাজিয়ে তার ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফকে ব্যবহার করে চলতি বছরের মার্চ মাসে তার পরিবারের বিরুদ্ধে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ও পরে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বাদী করে পিরোজপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।  

এ ব্যাপারে সাংবাদিক লোকমান হোসেন বলেন, সাবেক ব্যাংকার মো. রুহুল আমীন হাওলাদার আমার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশী। আমার শ্বশুরের সঙ্গে ওই পরিবারের অল্প কিছু জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রুহুল আমীন ও তার ভাই মিলে ২০১০ সাল থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন থানায় ও আদালতে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অন্তত ১৬টি বানোয়ট মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। সব মামলা থেকে আমি মুক্তি পাই।

লোকমান হোসেন আরও বলেন, আমার শ্বশুরের প্রতিপক্ষ রুহুল আমীন ব্যাংকের চাকরি থেকে অবসরে গিয়ে তার ভাইকে দিয়ে আবার নতুন করে সাজানো একটি চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করেছেন। বর্তমানে আমার ও আমার পরিবারকে নানা হুমকি দিয়ে আসছেন এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জিডিসহ মামলা করে হয়রানি করবে বলে হুমকি দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে চাঁদাবাজি মামলার বাদী আব্দুল লতিফের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে মামলার দুই নম্বর সাক্ষী তার ভাই রুহুল আমিন হাওলাদার দাবি করেন তিনি এ মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।