ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শীর্ষ ঋণ খেলাপি আরএসআরএম এমডি গ্রেফতার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২২
শীর্ষ ঋণ খেলাপি আরএসআরএম এমডি গ্রেফতার 

ঢাকা: দেশের অন্যতম ঋণখেলাপি ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (আরএসআরএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাকসুদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (৮ জুন) দিনগত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান।

 

র‌্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাকসুদুর রহমানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান নম্বর ১২২ নম্বর নম্বর সড়কের একটি বাসায় অভিযান শুরু হয়। পরে রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  

জানা যায়, জনতা ব্যাংকের অন্যতম শীর্ষ ঋণখেলাপি আরএসআরএম গ্রুপের কাছে ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা আটকে আছে। ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের লালদিঘী ইস্ট কর্পোরেট শাখা। এই গ্রুপের কাছে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ২২৬ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে জনতা ব্যাংক লালদিঘী ইস্ট কর্পোরেট শাখার। এর মধ্যে মেসার্স মডার্ন স্টিল মিলস লিমিটেডের কাছে ৪০৯ কোটি, মেসার্স রতনপুর শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে ৩০৫ কোটি ও এসএম স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের কাছে ৫১২ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

এর আগে জানুয়ারিতে আরএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমানের পাসপোর্ট আদালতে জমাদানের পাশাপাশি তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত।  

সূত্র জানায়, মামলার রায়ে আদালত কর্তৃক মাকসুদুর রহমানকে একজন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ২০১৯ সালে মাত্র দুই শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল করার সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সুযোগে ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন অনেক খেলাপি। কিন্তু সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও তা গ্রহণ করেনি আরএসআরএম গ্রুপ। মাকসুদুর রহমান মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে ২০টি মামলা বিচারাধীন। দুইটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

চট্টগ্রামের ইস্পাত খাতের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান রতনপুর গ্রুপ। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর এ গ্রুপটির বার্ষিক টার্নওভার ছিল প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। কর্মী সংখ্যা ছিল ৮০০। প্রায় ৪০ কোটি টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় গ্রুপটির দু'টি কারখানার উৎপাদন এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
পিএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।