ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি: ছেলে জীবিত না মৃত জানে না পরিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২২
সীতাকুণ্ড  ট্র্যাজেডি: ছেলে জীবিত না মৃত জানে না পরিবার

নওগাঁ: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ ফায়ার ম্যান রবিউল ইসলাম। অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে যান রবিউল।

এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রবিউল ইসলাম নওগাঁ সদর উপজেলার চকপাথুরিয়া বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা।  

নিখোঁজের পর থেকে তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁয় নেমে এসেছে অন্ধকারের ছায়া। কোনোভাবেই খোঁজ মিলছে না তাঁর। ২০১৯ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে নিয়োগ পান। এরপর সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন তিনি।

রবিউলের চাচি ফারজানা আফরোজ বাংলানিউজকে জানান, সবশেষ ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে রবিউলের সঙ্গে কথা হয় মায়ের। তখন সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নিভাতে যাওয়ার কথা বলে ফোন রাখেন রবিউল। এরপর পরের দিন সকালে রবিউলকে ফোন দেয় পরিবারের লোকজন। কিন্তু তার ফোন রিসিভ করে সীতাকুণ্ডের ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত ব্যক্তিরা। এরপর পরিবারকে জানানো হয়, তাদের ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানতে পারেন অগ্নিকাণ্ডের হতাহতের খবর।

তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে রবিউলের খোঁজে চট্টগ্রামে ছুটে গিয়েছেন তার বাব, চাচাসহ স্বজনেরা। সেখানে তাদের চারটি মরদেহ দেখানো হয়েছে। তবে বিভৎস হওয়ায় চেনা যায়নি রবিউলের মরদেহ। সেখানে জানানো হয়েছে, পরিচয় শনাক্তে এখন অপেক্ষা ডিএনএ ফলাফলের উপর।

এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মৃত না কি জীবিত সেটিই নিশ্চিত হতে পারছে না স্বজনেরা। বুকে ধনকে আর জীবিত দেখতে পাবেন কি না সেই শঙ্কায় পরিবার-স্বজনেরা।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, রবিউলের নিখোঁজ থাকার খবর শুনেছেন তারাও। শনাক্ত কিংবা অন্য যোকোনো সহযোগিতা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।