ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনা-সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার-পুনঃনির্মাণ শেষে হস্তান্তর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
খুলনা-সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার-পুনঃনির্মাণ শেষে হস্তান্তর

খুলনা: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের সমাপনী শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ উপলক্ষে সোমবার (৩০ মে) দুপুরে খুলনার কয়রা উপজেলা ডাকবাংলা চত্বরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের এরিয়া কমান্ডারের পক্ষে ১০৫ ব্রিগেড-কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোল্লা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানে সাইক্লোন আম্ফান। সাইক্লোন সিডরের পর এটি ছিল দেশে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও ঘণ্টায় ১৫০ কি.মি গতির এই সাইক্লোন দেশের ২৬টি জেলায় তাণ্ডব চালায়। এতে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ বাস্তহারা হয় এবং ২৬ জন মারা যান। আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা ও সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার ১১টি জায়গায় প্রায় ১০.৫৩ কি.মি বাঁধ ভেঙে দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় বাঁধের পুনঃনির্মাণকল্পে সরকার দ্রুত মেরামত ও সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়। এরপর সেনাবাহিনী প্রধানের দিক নির্দেশনায় ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করে। মহামারি করোনার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণকে রক্ষায় এই পবিত্র দায়িত্ব চালিয়ে যায় এবং প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করে।

তিনি বলেন, শত ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মাণের কাজ শতভাগ সফলতার সঙ্গে শেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে হস্তান্তর করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক ও ৩ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী মাসুদ মো. মাহেনুর, পাউবোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী একেএম তাহমিদুল ইসলাম, কয়রা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা চাকলা পয়েন্ট পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর এই বেড়িবাঁধ সংস্কারও পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল’ ২০২২ সালে শেষ হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।