ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তা: গ্রেফতার মার্জিয়া ৩ দিনের রিমাণ্ডে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তা: গ্রেফতার মার্জিয়া ৩ দিনের রিমাণ্ডে

নরসিংদী: নরসিংদী রেলস্টেশনে আধুনিক পোশাকের অজুহাতে এক তরুণীকে হেনস্তার ঘটনার মূল হোতা মার্জিয়া আক্তারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

সোমবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় নরসিংদী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন এ রায় দেন।

এর আগে রোববার দিন গত রাত ৩টার দিকে শিবপুররের মুনছেপের চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে র‌্যাব-১১।

র‌্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, স্টেশনে তরুণীকে লাঞ্ছনার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ ঘটনার মূলহোতা মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলা ওরফে শায়লা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবপুর উপজেলার মুনছেপের চর এলাকায় মার্জিয়ার খালার বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে রাত ৩টার দিকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে বিকেলে রেলওয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
 
ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুনুর জামান রুমেল জানায়, সন্ধ্যায় মার্জিয়াকে নরসিংদী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৮ই মে (বুধবার) সকালে নরসিংদী রেল স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন দুই তরুণ ও এক তরুণী। মেয়েটির পড়নে ছিল জিন্স ও টপস। তাই দেখে স্টেশনে অবস্থানরত এক নারী প্রথমে ওই তরুণীকে আঘাত করে ও পরে আরও কয়েকজন ব্যক্তি তার ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগী ওই তরুণী দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে আশ্রয় নিয়ে তাকে বাঁচানোর অনুরোধ করেন। পরে স্টেশন মাস্টারের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়া হয়।

তরুণীকে হেনস্তা ও মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার দুই দিন পর শুক্রবার রাতে নরসিংদী শহরের ইউএমসি জুট মিলের সামনে থেকে ইসমাইল মিয়া নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ সিদ্দিকীর আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই রাতেই নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমায়েদুল জাহেদী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ও ৩০ ধারায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে ইসমাইল মিয়া ও মার্জিয়া আক্তারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও এক নারী ও ১০ পুরুষকে আসামি করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের আসামি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।