ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মিয়ানমারে প্রবেশাধিকার না দেওয়ায় বাংলাদেশের উদ্বেগ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
মিয়ানমারে প্রবেশাধিকার না দেওয়ায় বাংলাদেশের উদ্বেগ

ঢাকা: জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অগ্রাধিকার। আমরা এই অগ্রাধিকারকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘সশস্ত্র সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা’ শীর্ষক বিতর্কে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উন্মুক্ত বিতর্কটির আয়োজন করে নিরাপত্তা পরিষদের চলতি মে মাসের সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

মানবিক কাজে নিয়োজিত কর্মীদের প্রবেশাধিকার প্রত্যাখ্যান এবং তাদের ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা পরিষদ সম্ভাব্য যে সব বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নিতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয় উন্মুক্ত বিতর্কে।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চলমান সংঘাত, দীর্ঘায়িত মানবিক সংকট এবং ক্রমবর্ধমান জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির প্রেক্ষাপটে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন ক্রমাগত মানবিক চাহিদা বাড়ছে, তখন প্রবেশাধিকার একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

মিয়ানমারের অনিশ্চিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বিলম্ব হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য, বিশেষ করে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য অত্যন্ত অনিরাপদ যার বাস্তব উদাহরণ হলো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।

মিয়ানমারে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থার প্রবেশাধিকারের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা যে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে চলেছেন, তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রায় সাত হাজার শান্তিরক্ষী বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং মিশনে কাজ করছেন। তারা বেসামরিক এলাকার নিরাপত্তা দিচ্ছেন, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সেবা নিশ্চিত করছেন। স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবাদানে সহায়তা  করছেন, কমিউনিটির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছেন এবং নারী ও যুব সমাজকে ক্ষমতায়িত করছেন।

দুর্ভাগ্যবশত শান্তিরক্ষী এবং মানবিক কর্মীরা ক্রমবর্ধমানভাবে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে এবং প্রায়শই ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য এ সকল আক্রমণকে উসকে দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এ ধরনের ঘটনা মোকাবিলায় আরও কার্যকর যোগাযোগ কৌশল তৈরি করতে হবে। শান্তিরক্ষা মিশনসমূহে ‘বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা’র ক্ষেত্রে যে ম্যান্ডেট রয়েছে, সে অনুযায়ী পর্যাপ্ত সম্পদের সংস্থান নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তিনি।

সদস্য রাষ্ট্রসমূহের জাতীয় বিচারিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতসহ আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা ব্যবস্থাকে সমর্থন জোগানোর জন্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad