ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ডিআরইউ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ডিআরইউ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ছবি: শাকিল

ঢাকা: সাংবাদিকদের বৃহত্তর সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সংবর্ধনা প্রাপ্তরা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কৃষ্ণ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক আহমেদ মোবারকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাশার চপল, বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্তিক চ্যাটার্জী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন দাশ গুপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার হারুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শংকর কুমার দে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হালিম আজাদ।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সাংবাদিকরা দেশে-বিদেশে বিশ্বজনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন। জাতি এ বীরদের আজীবন স্মরণ করবে। যারা কলম সৈনিক, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা চরমপত্র লিখেছেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। কারণ মুক্তিযোদ্ধা শুধু একদিক থেকে নয়, সার্বিক দিক থেকে সবকিছু মিলিয়েই মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খুব দ্রুতই আলাদা স্মার্টকার্ড তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুতই উপজেলায় এগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত এক লাখ ৮৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে আর কেউ তালিকায় স্থান পাবে না, তবে আপিল নিষ্পত্তি হবে। তাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন হচ্ছে। এছাড়া জুন মাস থেকে আমাদের সব সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

সংবর্ধনা পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে এবং স্মৃতিচারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে-বিদেশে যে সাংবাদিকতা হয়েছিল সে সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, দালিলিকভাবে ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে। গণমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের যারা জীবিত আছেন তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব প্রবাহিত হবে বলেও এ সময় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

আয়োজনে এ সময় ডিআরইউয়ের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডিআরইউয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফি, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ডিআরইউয়ের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তাদের মধ্যে অনেকেই সামনের সারিতে থেকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে জীবন বাজি রেখে ছিলেন। তাদের সম্মান করতে পেরে আমরা গর্বিত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।