ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শুল্ক আরোপেও বাড়েনি আমদানিকৃত ফলের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
শুল্ক আরোপেও বাড়েনি আমদানিকৃত ফলের দাম

ঢাকা: বিদেশি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছে। আমদানি করা ফলের ওপর এ শুল্ক আরোপিত হলেও মূল্য বৃদ্ধি হয়নি।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে ফলের দাম বাড়লে খুচরা বাজারেও দাম বাড়বে। এখন আগের দামেই ফল বিক্রি হচ্ছে।

বুধবার (২৫ মে) রাজধানীর মিরপুর ২ ও ১০ নম্বর গোলচক্কর এলাকায় বিভিন্ন ফলের দোকান ঘুরে দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

নাশপাতি, মালটা, আপেল, আঙ্গুর, আনার ও কমলা- সাধারণত এসব ফল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফল, কিউইসহ আরও কিছু দামি ফল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আপেল আসে দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন ও ভারত থেকে। কেজি বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়।

নাশপাতি-মালটা নিয়ে আসা হয় চীন থেকে। বাজারে এ ফলের কেজি বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। রোজার ঈদের আগে মাল্টা বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। নাশপাতির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে ফলটির দাম বৃদ্ধি পায়। ঈদের আগে কেজি ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা।

আঙ্গুর ফল আমদানি করা হয় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া থেকে। ঈদের আগে বাজারে লাল আঙ্গুর ছিল না। এখন লাল আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি। দাম বেড়ে সবুজ আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। ঈদের আগে সবুজ আঙ্গুর কেজি বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

আনার বা ডালিম ফল নিয়ে আসা হয় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। আকার ভেদে এ ফলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। ঈদের আগে আনারের কেজি ছিল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা।

সাউথ আফ্রিকা থেকে আসে কমলা। বর্তমানে ফলটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। ঈদের আগে কমলার কেজি ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।

মিরপুর ২ নম্বর কাঁচাবাজারের ফল বিক্রেতা মহব্বত মিয়া বাংলানিউজকে জানান, তার দোকানে আমদানি করা ফলের মধ্যে আছে আপেল, নাশপাতি ও আঙ্গুর। সাউথ আফ্রিকার আপেল বাদামতলী আড়ত থেকে কিনে আনেন তিনি। আপেলের কেজি বিক্রি করেন ২০০ টাকায়। ঈদের আগেও এ দামেই বিক্রি হয়েছে।

তার দোকানের আঙ্গুর নিয়ে আসা হয় ভারত ও পাকিস্তান থেকে। আঙ্গুরের দাম ২৪০ টাকা টাকা। তিনি একই দামে বিক্রি করেন। কখনও কখনও ২৫০ টাকাতেও বিক্রি করেন। ঈদের আগে আঙ্গুর বিক্রি করেছিলেন ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। চীন থেকে আনা নাশপাতি তিনি বিক্রি করছেন ২৫০ টাকায়। রোজায় ফলটি বিক্রি করেছিলেন কেজি প্রতি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা।

১০ নম্বর গোলচক্কর এলাকার ফল দোকান মালিক মো. বিনু বাংলানিউজকে বলেন, আমদানিকৃত ফলের ওপরে সরকার শুল্ক আরোপ করলেও এখনও দাম বাড়েনি। এখন পর্যন্ত যেসব ফলের দাম বেড়েছে, তা শুল্কের জন্য নয়। বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে বলেই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ফলের দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আড়তে যদি আমদানিকৃত ফলের দাম বাড়ে তখন তারাও বাড়তি দামে বিক্রি করবেন।

এর আগে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপ ও আমদানি প্রবণতা কমাতে শতাধিক বিলাসবহুল ও বিদেশি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত আরোপ করে সরকার। সোমবার (২৩মে) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

পরে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরবর্তী সময় অর্থনীতি পুনর্গঠন, বিলাসবহুল পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা ও আমদানি হ্রাসকরণ এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বিদেশি ফল, ফুল, ফার্নিচার ও কসমেটিকস জাতীয় প্রায় ১৩৫ টি এইচ এস কোড ভুক্ত পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ০ শতাংশ ও ৩ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

এনবিআর বলেছে, সাময়িকভাবে এ শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। এটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ২৫ মে, ২০২২
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।