ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

হৃদয়ের প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী ফেনীতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
হৃদয়ের প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী ফেনীতে প্রতীকী ছবি

ফেনী: প্রেমের টানে ভারত ছেড়ে ফেনীতে এসেছেন অঙ্কিতা মজুমদার নামে এক তরুণী। তিনি আসামের দিব্রুগর এলাকার বাসিন্দা।

ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুরে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে প্রেমিক হৃদয় মজুমদারের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেন অঙ্কিতা।

বুধবার (২৫ মে) ফেনী মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, অঙ্কিতা আসামের দিব্রুগর এলাকার অভিজাত মজুমদার ও রুমা মজুমদারের সন্তান। তার মায়ের বাড়ি ফেনীতে। মায়ের সঙ্গে প্রায়ই নানা বাড়িতে বেড়াতে আসতেন অঙ্কিতা। গত ৫ মে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরপর ৭ মে নিখোঁজ হন তিনি। পরে ১২ মে দীর্ঘদিনের প্রেমিক হৃদয়কে বিয়ে করেন অঙ্কিতা। এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানায় অঙ্কিতার পরিবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৩ মে ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহিম সরকার বলেন, ২০১৬ সালে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসলে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটের বাসিন্দা হৃদয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় অঙ্কিতার। মোবাইল ফোনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি পরিবারকে জানানোর পর সম্মতি পায়নি অঙ্কিতা। পরে পালিয়ে বিয়ে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, অঙ্কিতা চাইছেন স্বামীর সঙ্গে থাকতে। কিন্তু তার পরিবার চাইছে পড়াশোনা শেষে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। যেহেতু দুই পরিবারের মাঝে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে আমরা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে পাঠিয়েছি। আর অঙ্কিতা প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাংলাদেশের ভিসা থাকায় আদালত তাকে নিজ জিম্মায় দিয়েছেন। অঙ্কিতা স্বামীর কাছে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে অঙ্কিতা বলেন, আমি ও হৃদয় ১২ তারিখে বিয়ে করেছি। স্বেচ্ছায় আমি আমার স্বামীর সঙ্গে গিয়েছি। তার সঙ্গে থাকতে চাই।

হৃদয় বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছে। অঙ্কিতা বলেছে তার পরিবার আমাদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছে না। তার ইচ্ছা অনুযায়ী আমরা ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে করেছি।

তবে এই বিয়ে হৃদয়ের বাবা মেনে নিলেও মেয়েকে ফেরত নিতে চান অঙ্কিতার মা রুমা মজুমদার। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমি অঙ্কিতা-হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে জানতাম না। আমি মেয়েকে ফেরত নিয়ে যেতে চাই। ওর পড়াশোনা শেষ হয়নি, পড়াশোনা শেষ হলে তাকে ছেলের হাতে তুলে দেব।

হৃদয়ের বাবা বাবুল মজুমদার বলেন, ছেলেমেয়ে দুই জনই প্রাপ্তবয়স্ক। আমার ছেলে ভুল করেছে। কিন্তু আমার একটাই ছেলে। তাই ভুল করলেও মেনে নিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৫০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।