ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নির্যাতনে ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
নির্যাতনে ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ  প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ইটভাটা মালিক পক্ষের লোকজনের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আনোয়ার হোসেন (২২) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  

বুধবার (১৮ মে) দিনগত রাত ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরের দিকে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ০২ মে তাকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

নিহত আনোয়ার রামগতি উপজলার চরআলগী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরহাসান হোসাইন এলাকার আব্দুস শহীদের ছেলে।

ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আনোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত ইটভাটা মালিক ও তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনা হয়েছে। তবে তাদের আটক করা হয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনোয়ারের মামা ফারুক ও স্থানীয়রা জানান, আনোয়ার শ্রমিক হিসেবে খলিল মাঝির ভাই খবির মাঝির খাগড়াছড়ির একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। চুক্তি অনুযায়ী ছয় মাস কাজ করার কথা থাকলেও আনোয়ার পাঁচ মাস কাজ করে বাড়ি চলে আসেন। এর জের ধরে খবির মাঝি তার ভাই খলিল মাঝি, দুই ভাতিজা ইব্রাহিম ও রিয়াজ আনোয়ারকে কয়েকবার মারপিটও করেন।  

পরিবারের অভিযোগ, গত ০২ মে আনোয়ারকে চরআলগী ইউনিয়নের সুফিরহাট এলাকার খলিল মাঝির মালিকানাধীন মেঘনা ইটভাটায় আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে মারধর করে জখম করে ভাটা মালিক ও তার লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আনোয়ারকে উদ্ধার করে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আনোয়ারকে ঢাকায় না নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বুধবার দিনগত রাত ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে আনোয়ারের মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।