ঢাকা, বুধবার, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৫ জুন ২০২৪, ২৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ময়মনসিংহে ২ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
ময়মনসিংহে ২ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত শুরু

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দুই নম্বর কুষ্টিয়া ইউনিয়নের দুই উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

ওই উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা হলেন-কুষ্টিয়া ইউনিয়নের বর্তমান উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ মো. আবু তাহের ও সাবেক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম (বর্তমানে তিনি গফরগাঁও উপজেলার পাইথল ইউনিয়নে কর্মরত)।

বুধবার (১১ মে) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদুল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

তিনি জানান, আগামী ২৬ মে এ তদন্ত কার্যক্রমের শুনানিতে অংশ নিতে অভিযুক্তদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।      

জানা যায়, এর আগে চলতি বছরের ২৪ মার্চ স্থানীয় আব্দুর রহমান ও আব্দুস সোবহান নামে দুই ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ করেন।  

ওই অভিযোগে আব্দুর রহমান ও আব্দুস সোবহান বলেন, কুষ্টিয়া ইউনিয়নের বেগুনবাড়ী চরদড়ি কুষ্টিয়া মৌজায় ৬০৬ খতিয়ানের দু’টি দাগে ১১৩ একর ১০ শতাংশ জমি খাজনা-খারিজের জন্য আমাদের কাছে তৎকালীন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে বাধ্য হয়ে আমরা এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা দিলে শফিকুল ইসলাম মোট ১১টি খাজনা রশিদ কাটেন। এর মধ্যে আমাদের পক্ষে আ: রহমান গংদের নামে মাত্র ২ হাজার ৩ শত ৩১ টাকার একটি রশিদ দেয়। বাকি ১০টি রশিদ বেনামে প্রদান করে।  

ভুক্তভোগীরা আরও জানায়, এ ঘটনায় রশিদে জমাকৃত টাকার বাদে বাকি টাকা ফেরত চাইলে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম টালবাহানা করে আত্মসাৎ করেন। ঘটনাটি নিয়ে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে ওই ভূমি কর্মকর্তাকে দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।  

কিন্তু শফিকুল ইসলাম টাকা ফেতর না দিয়ে জেলা প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে উল্টো প্রতিবেদন দেন। পরে ওই বছরই তাকে গফরগাঁও উপজেলার পাইথল ইউনিয়নে বদলি করা হয়।  
 
এছাড়া কুষ্টিয়া ইউনিয়নের বর্তমান উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ মো. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে
স্থানীয় বেগুনবাড়ী এলাকায় চারটি বালু ঘাট অবৈধভাবে পরিচালনা করে কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ করা হয়। মূলত ওইসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।