ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’: শ্যামনগরে প্রস্তুত ১৮১ সাইক্লোন শেল্টার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২২
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’: শ্যামনগরে প্রস্তুত ১৮১ সাইক্লোন শেল্টার

সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।  

রোববার (৮ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার।

সভায় জানানো হয়, দুর্যোগকালীন সময়ে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আরও অন্তত ৭৮টি দ্বিতল ভবনকে সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া শ্যামনগর উপজেলাকে ঘিরে থাকা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ ১৭টি পয়েন্টে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে পানি প্রবেশ ঠেকানোর উদ্যোগ নিচ্ছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

সভায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুপেয় পানি সংরক্ষণসহ স্থানীয় বাজার থেকে শুকনা খাবার সংগ্রহ করতে ইউপি চেয়ারম্যানদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে পরিষদের সদস্য, গ্রাম পুলিশসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সতর্ক বার্তা জারি হওয়ায় পরপরই গর্ভবতী ও প্রসূতি নারীসহ বয়স্ক ও শিশুদের নির্ধারিত সাইক্লোন শেল্টারে সরিয়ে নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে সিপিপির আঞ্চলিক কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদসহ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ-উজ জামান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ, এনজিও সমন্বয় পরিষদের প্রতিনিধি আল ইমরান, স্বেচ্ছাসেবক টিমের প্রতিনিধিসহ উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপজেলা দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন বলেন, এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে নগদ এক লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় সবপক্ষকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে, রোববার দুপুর পর্যন্ত শ্যামনগরের উপকূলীয় এলাকার পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীসমূহে পানির উচ্চতা স্বাভাবিক ছিল। ঝড়ো বাতাস না থাকায় নদ-নদীতে ঢেউয়ের কোনো তীব্রতাও ছিল না। যদিও স্থানীয়দের আশঙ্কা আগামী ১২ বা ১৩ মের দিকে ‘গোণ মুখ’ চলে আসায় নদী ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ৮ মে, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।