পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কিশোরী গৃহবধূ সুমি আক্তারকে (১৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন ওই গৃহবধূর স্বামী কলেজছাত্র হৃদয়ে ও শ্বাশুড়ি ইয়াছমিন বেগম (৫৫)।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সুমি উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ব্যাপসাবুনিয়া গ্রামের মিলন মোল্লার কন্যা ও স্থানীয় বালিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সে একই গ্রামের মাস্টার মো. ফারুক হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদারের স্ত্রী। স্বামী ফারুক হাওলাদার উপজেলা সদরের ইন্দুরকানী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
গত মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাতে ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়।
সুমির মামা মো. মনির হোসেন ফরাজী বাংলানিউজকে জানান, সুমির বাবার সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক না থাকায় সুমির মা জীবিকার সন্ধানে সৌদিআরব থাকেন। আর সুমি তার মামা বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতো। এ ঘটনায় নিহতের মামা বাদী হয়ে বুধবার সকালে ইন্দুরকানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে সুমির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে ওই হৃদয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। গত ৪-৫ দিন আগে সুমির স্বামী হৃদয় হাওলাদার সুমিকে তার মায়ের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল এনে দিতে বলে। এমন প্রস্তাব সুমি প্রত্যাখ্যান করে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে সুমির স্বামী হৃদয় সুমিকে মারধর করে। এতে সুমি নিহত হয়। পরে এই হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে ঘরে থাকা চালের পোকা নিধনের ওষুধ মুখে দেয়া হয়। খবর পেয়ে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাতে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই অভিযোগে নিহতের স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
এনটি