ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পানিতে খুশি উপকূলবাসী   

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পানিতে খুশি উপকূলবাসী 
  পানি নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন জনগণ

বাগেরহাট: বাগেরহাটে সুপেয় পানির সংকট মোকাবিলায় ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে সুপেয় পানি সরবরাহ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।  

সরকারি এ উদ্যোগে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে উপকূলবাসীর মনে।

তবে শুষ্ক মৌসুমে স্থায়ীভাবে সুপেয় পানির সমাধান চান তারা। যতদিন পর্যন্ত এলাকায় সুপেয় পানির চাহিদা থাকবে, ততদিন এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী।

প্রচণ্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে পানির উৎসগুলো (পুকুর, দিঘি, খাল) শুকিয়ে যাওয়ায় শুধু খাবার পানিই নয়, রান্নার পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে।  

জেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এভাবে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।  

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম ধানসাগর এলাকায় শত শত নারী–পুরুষ হাঁড়ি, কলস ও ড্রামসহ নানা পাত্র নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে এখান থেকে সুপেয় নেন।  

প্রতি ঘণ্টায় প্লান্ট থেকে ৭০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।  

এদিকে বিভিন্ন উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে ফুটিয়ে ও বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করে পানি পানের আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।  
 
শরণখোলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এসএম মেহেদী হাসান বলেন, এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পানি দেওয়া হচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে আরও বেশি পানি সরবরাহ করতে পারলে অনেক মানুষ উপকৃত হতো।  

রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, শরণখোলা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে লবণাক্ততার কারণে অগভীর নলকূপ স্থাপন হয় না। প্রায় দেড় লাখ মানুষ পুকুর ও বৃষ্টির পানি দিয়ে তৃষ্ণা মেটায়। কিন্তু এবার একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় পানির উৎসগুলোতে কোনো পানি নেই। ফলে মানুষের মধ্যে খাবার পানির জন্য হাহাকার চলছে। বর্তমানে যে ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পানি দেওয়া হচ্ছে, তাও অপ্রতুল। তারপরও এতে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।  

বাগেরহাটের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত মল্লিক বলেন, উপকূল জুড়ে তীব্র পানির সংকটের খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। বাগেরহাটের শরণখোলায় ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্লান্ট থেকে ঘণ্টায় ৭০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত পানির সংকট দূর না হবে এবং এলাকায় পানির চাহিদা থাকবে, ততদিন এ কার্যক্রম চলবে।           

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
এসআই


  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।