সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে এমপির অনুষ্ঠানে ইফতার না পাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন। এঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আমতা ইউনিয়নের আমতা হরলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্থনীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত আমতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সেলিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়ে মানিকগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এছাড়াও ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য বিউটি আক্তার এবং তার ছেলে রাব্বিও আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আটকরা হলেন-ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে মো. কাইয়ুম (২০) ও একই গ্রামের তরব আলীর ছেলে রুহুল আমিন (১৮)। তবে আহতদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় এমপি বেনজির আহমেদের উপস্থিতিতে সেখানে একটি ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় এলাকাবাসীর মধ্যে ইফতার বিতরণ নিয়ে স্থানীয় যুবকদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে সেটি মারামারির পর্যায়ে চলে যায়। এসময় চেয়ার নিয়ে সংঘর্ষ জড়ায় উভয় পক্ষ। এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে আমতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আজ একটা ইফতার মহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে এমপি সাহেবও উপস্থিত ছিলেন। কিছু ছেলে হটাৎ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। চার-পাঁচ জনের মত আহত হয়েছেন। বাকিদের কথা বলতে পারছি না। খাবার না পাওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে।
কাওয়ালী পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাসেল মোল্লার বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমরা দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। তখন এমপি সাহেবও ছিলেন। এতে পাঁচ-ছয় জনের মত আহত হয়েছেন। এসময় দুই জনকে আটক করা হয়। তাদের আমাদের হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ঘণ্টা, ২০ এপ্রিল, ২০২২
এসএফ/ এমএমজেড